সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ‘ন্যাশনাল ডায়ালগ অন অ্যাকশন এগেইনেস্ট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স’ শীর্ষক আয়োজনের একটি সেশনে এমন কথায বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।
'সেটিং দ্যা টোন: ফ্রেমিং সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স' শিরোনামের এই প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন ইউএন-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ সকো ইশিকাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডা. আবুল হোসেন।
সকো ইশিকাওয়া বলেন, মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত মানুষগুলো দ্বারাই সেক্সুয়াল ভায়োলেন্সটা সবচেয়ে বেশি হয়। এছাড়া অনেক সময় নারীরা বিষয়টি সবার সামনে তুলে আনতে লজ্জাবোধ করে বলেও নীরবে থেকে যায়। আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেই, তবে এখন আমাদের সেগুলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রুখে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে। কেননা এটি এখন সমাজে একটি ট্যাবুর আকার ধারণ করেছে।
ডা. আবুল হোসেন বলেন, সমাজ, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল থেকেই যদি আমরা সচেতনতার ব্যাপারটি শুরু করতে পারি, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ শেখাতে পারি, তাহলে আমাদের সমাজে যৌন হয়রানির বিষয়টি অনেক কমে আসবে। এছাড়া অপরাধীকে ঠিকমতো সাজা দিতে না পারার কারণে এটি অনেক সময় বড় আকার ধারণ করে। নারী-পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে অবশ্যই সমস্যা কমে আসবে।
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পুরুষের হীনমন্য চেতনা থেকে সাধারণত এ ধরনের কার্যকলাপগুলো হয়। আমাদের সমাজে মোট প্রকাশিত ধর্ষণের প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু এবং তাদের বয়স ১২ বছরের নিচে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর তুলনায় শিশুদের সহজে ভোলানো যায় বলে ধর্ষণের ইজি টার্গেট হিসেবে তাদের সংখ্যাটাই বেশি। বর্তমানে ধর্ষণ একটি সেলিব্রেটিং বিষয়। এটি কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তিও বিষয়টিকে জোরদার করে।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, আমাদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আশাবাদী হওয়া উচিত। এটি নিয়ে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণাও হচ্ছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শারীরিক শিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত পাঠ দান করলে এই সহিংসতা আরও কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/এএ