সোমবার (২৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট লেখক মফিদুল হক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই রবিউল হুসাইনের শরীরে রক্ত তৈরি হচ্ছিল না। এর কারণেই তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
১৯৪৩ সালের ৩১ জানুয়ারিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপার রতিডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রবিউল হুসাইন। কুষ্টিয়া শহরে স্কুল ও কলেজ জীবন শেষে বুয়েট থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন কৃতি কবি।
স্থপতি হওয়ার পাশাপাশি ষাটের দশক থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখা ছাড়াও ষাটের দশকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রবণ ছোট কাগজে লেখালেখি করতেন৷ কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও শিশুতোষ গোটা পঁচিশেক বইয়ের লেখক তিনি।
রবিউল হুসাইনের বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, জাতীয় কবিতা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচক ইত্যাদি সংস্থায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।
ভাষা ও সাহিত্যে অবদান রাখায় ২০১৮ সালে একুশে পদক পান কৃতি কবি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষক ও স্থপতি রবিউল হুসাইন। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার, কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার, আইএবি পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিপত্নীক ছিলেন। তার একমাত্র সন্তান রবিন হুসাইন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
ডিএন/এএটি