গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করবেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ১৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রায়ের দিন নির্ধারণ করেন বিচারক।
মামলার আট আসামির মধ্যে একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (জাপা) কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খান, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানা গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ্য অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ভারতে পলাতক রয়েছেন আরেক আসামি চন্দন কুমার।
গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, সাক্ষী-প্রমাণসহ মামলার নানা দিক বিবেচনায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা আশা করছি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ বলেন, এ মামলায় কাদের খানকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলার রায় সন্তোষজনক না হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবো।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আলোচিত এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে তা শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। এ পর্যন্ত আদালতে মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী বুলবুল। তদন্ত শেষে কাদের খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া লিটন হত্যার ঘটনায় অস্ত্র আইন মামলায় গত ১১ এপ্রিল আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এসএইচ