ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নাইজেরিয়ায় বিজয় দিবস উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
নাইজেরিয়ায় বিজয় দিবস উদযাপন

ঢাকা: ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নাইজেরিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নাইজেরিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৬ ডিসেম্বর হাইকমিশন ভবনে হাইকমিশনার শামীম আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শাহাদাৎবরণকারী পরিবারের সদস্যসহ সব শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

হাইকমিশন মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু, পরিবারের শহীদ সদস্য ও সব শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার শামীম আহসান বিজয় অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় অবদানসহ মুক্তিযোদ্ধা ও অত্যাচারিত মা-বোনদের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন।  

ভারত ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নসহ অন্য বিদেশিদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অসাধারণ অবদানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের কথাও তুলে ধরেন।

হাইকমিশনার শামীম আহসান বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের ক্ষেত্রে হাইকমিশনের কর্মপরিকল্পনার কথা সবাইকে অবহিত করেন।

সভায় নাইজেরিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে প্রশিক্ষণরত ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জিতেন্দ্র সিং বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডে ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে দুইদেশের মধ্যে বিদ্যমান অনুকরণীয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
টিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।