ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাহারি পিঠা নিয়ে হোসেনপুরে চলছে পিঠার মেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
বাহারি পিঠা নিয়ে হোসেনপুরে চলছে পিঠার মেলা বাহারি পিঠা নিয়ে হোসেনপুরে চলছে পিঠার মেলা

কিশোরগঞ্জ: শীত মানেই পিঠা-পুলির খাওয়ার আয়োজন। পিঠা-পুলির স্বাদ ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছরই আয়োজন করা হয় পিঠা মেলার। পাঁচ দিনের এই পিঠা মেলা শুরু হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার আশুতিয়া নতুন বাজারের সুবিশাল চত্বরে। খাওয়ার সঙ্গে পিঠার দেখার মজাও কম নয়। পরিচিতি ঘটে নানা রকম ও স্বাদের বাহারি পিঠা-পুলির। 

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাত থেকে শুরু হয়ে এই পিঠা মেলা চলবে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত।  

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে পিঠা মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বাহারির পিঠার পসরা নিয়ে স্টলে বসেছে পিঠা মেলা।

শুরু থেকেই ভিড় করেছে তরুণ-তরুণী আর পিঠা রসিকরা। বাহারি নামের এসব পিঠা কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এখান থেকে পিঠা কিনে নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককেই।

আয়োজকরা বলছেন, পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই ছিল এই পিঠা মেলা। এসব পিঠার নাম হয়ত কারো জানা নেই। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব পিঠা পরিবেশন করে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই মেলার উদ্দেশ। রকমারি পিঠা পরিবেশন করতে পেরে আনন্দিত অংশগ্রহণকারীরাও।

এছাড়াও এই মেলায় কাঠের তৈরী ফার্নিচার, কসমেটিকস সামগ্রী, বিভিন্ন পদের আচার ও মিষ্টিসহ দেশীয় খাদ্য পাওয়া যায়। যা বাড়তি সু্বিধা নিয়ে এসেছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দুয়ারে।  

ময়মনসিংহ জেলা থেকে আগত পিঠা দোকানি সেলিম মিয়া নানা রকমের পিঠা নিয়ে বসেছেন। এর মধ্যে পাটি সাপটা পিঠার স্বাদ ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাই পিঠা রসিককরা পাটি সাপটা খাচ্ছেন আর কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।  

পিঠা দোকানি সেলিম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় নানা রকমের পিঠা নিয়ে এসেছি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। আশা করছি এবার মেলায় লাভবান হবো।  

এলাকার তরুণ কবি মাজাহারুল ইসলাম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, গত সাত বছর ধরে শীতকালীন পিঠা মেলা হয়ে আসছে। এতে গ্রামের তরুণ-তরুণীরাও আনন্দ সহকারে অংশ নিচ্ছে। এ মেলাকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।  

এদিকে মেলার দর্শনার্থীরা বাংলানিউজকে বলেন, এসব পিঠার অনেকটি নাম কখনো শুনিনি। খুব ভালো লাগছে যে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পিঠার আয়োজন সামনে দেখতে পারছি আর স্বল্প মূল্যে এসব পিঠা পেয়ে আরো ভালো লাগছে।

মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, পিঠা মেলার আয়োজনকে ঘিরে এখানে রাতে বাউলগানসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ফলে দিন দিন মেলার আকর্ষন বাড়ছে। এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্রই।  

এই সময়ে জেলার কোথায় পিঠা মেলার আয়োজন না থাকলেও শুধু হোসেনপুর উপজেলার আশুতিয়া নতুন বাজারের সুবিশাল চত্বরে এই পিঠা মেলা হচ্ছে। আয়োজকরা ব্যাপকভাবে প্রচারণাও চালিয়েছেন। সবমিলিয়ে এই পিঠা মেলা ওই অঞ্চলে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৭৪৩ ঘন্টা, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯

ওএফবি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।