ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নেই সড়ক-সেতু, চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
নেই সড়ক-সেতু, চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসী

রাঙামাটি: রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার দুর্গম ঘাগড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উল্টাপাড়া গ্রাম। সেতু ও পাকা সড়কের অভাবে এ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এ দুর্ভোগ পৌঁছায় আরও চরমে।

জানা যায়, গ্রামটি উপজেলা শহরের সঙ্গে দুই ভাগ করেছে একটি পাহাড়ি ছড়া (ছোট নদী)। প্রতিদিন ওই গ্রাম দিয়ে কয়েক হাজার মানুষের চলাচল করে।

কিন্তু সড়ক ও সেতুর অভাবে স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কৃষক সমাজ সবাই প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহায়। গ্রামটিতে পাকা সড়ক এবং ছড়াটির উপর দিয়ে সেতু নির্মাণের জন্য ওই এলাকার বাসিন্দারা আন্দোলনের মাধ্যমে  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে সমস্যা সমাধানে কোনো পক্ষেরই সাড়া মেলেনি।

স্থানীয়দের দাবি, বর্তমান সরকার চারদিকে রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করছে।  যদি এ এলাকায় পাকা সড়ক ও একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা যায় তাহলে উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবে এ এলাকার মানুষ। শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ে স্কুলে যেতে পারবে এবং কৃষক সমাজ তাদের উৎপাদিত পণ্য বোঝায় করে শহরে বিক্রি করতে যেতে পারবে অনায়াসে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উল্টাপাড়া গ্রামটি দিয়ে অত্র এলাকার স্থানীয়রা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী পানছড়ি ও তালুকদার পাড়ার বাসিন্দারাও বাঁশের সাঁকো দিয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে উপজেলা শহরের সঙ্গে। ওই এলাকায় রয়েছে দুটি বৌদ্ধ বিহার, একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম সাঁকোটি।

ওই এলাকার স্থানীয় মনিন্দ্র তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, এলাকাবাসীর উদ্যোগে যোগাযোগের জন্য একটি কাঁচা রাস্তা এবং বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। বর্ষাকাল আসলে কাঁচা সড়কটি দিয়ে যোগাযোগ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ। তারা দীর্ঘ বছর আন্দোলন করেও সড়ক ও সেতু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

অত্র এলাকার আরেক স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা মন্টু বিকাশ চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এলাকায় কয়েকটি স্কুল ও ধর্মীয় উপসনালয় রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের এলাকা দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। মানুষের যোগাযোগের সুবিধার্থে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করি যাতে আমাদের এলাকায় একটি স্থায়ী সেতু ও পাকা সড়ক নির্মাণ করে দেয়।

ঘাগড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার তুষার কান্তি চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, আমিও এই এলাকার সন্তান। দীর্ঘ বছর ধরে এ সমস্যাটি দেখে আসছি।

একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি স্থানীয়দের সুবিধার্থে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে যতো দ্রুত সম্ভব গ্রামটিতে একটি পাকা সড়ক এবং সেতু নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।