ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ভারতের, কমবে পেঁয়াজের দর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ভারতের, কমবে পেঁয়াজের দর

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। একইসঙ্গে পণ্যটির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে আগামীতে এর দর কমে আসবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বেশি। তবে আমরা দেখেছি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হয়েছে। অন্যান্য দেশেও হবে। কোনোক্রমেই পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা থাকবে না। আমি খুবই আশাবাদী এর দাম কমে আসবে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গোটা জাতির মধ্যে পেঁয়াজ নিয়ে নানা রকম ক্ষোভ, আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে এসেছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে আগামীতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হবে না। পাশাপাশি আমদানি যদি করতেই হয়, তবে আগে থেকেই আমদানির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া কৃষকরা যাতে পেঁয়াজ উৎপাদনে ন্যায্যমূল্য পায়, সেজন্য স্থানীয় পদ্ধতিতে তা সংরক্ষণের নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে ২৩ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু আমাদের চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চাহিদা পূরণে আমদানি করতে হয়। তবে গত মৌসুমের শুরুতে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। অধিক ঘাটতির সৃষ্টি হয়। এর ওপর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে হু হু করে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। আমরা বাজারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। এরপর সরকার থেকে দ্রুত চীন, মিশরসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলে।

মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের বিষয়টি সরকার এবার গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন নির্দেশনা ও প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। অতীতের তুলনায় এবার অধিক হারে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পেঁয়াজের মৌসুমে আমদানি বন্ধ করে দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।

‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণের আধুনিক ব্যবস্থা নেই। এটি পচনশীল। এ কারণে মৌসুমে খুব অল্পমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হয় কৃষক। এতে পেঁয়াজ উৎপাদনে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। তাই আগামীতে এটা যাতে না হয়, সে ব্যাপারে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মাঠপযায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে, প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আমি আশা করছি, এবারের পেঁয়াজ উৎপাদন ২৩ থেকে ২৪ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। এ হিসেবে যদি প্রকৃতিক দুযোগ দেখা না দেয়, তবে আগামীতে আর সমস্যা হবে না। ’

আরও পড়ুন>>> ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ধান কেনা বাড়াবে সরকার

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এসকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।