ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়াই ছিল স্যার আবেদের দর্শন

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়াই ছিল স্যার আবেদের দর্শন

ঢাকা: ‘স্যার ফজলে হাসান আবেদের কর্মপরিধি ছিল ব্যাপক। কিন্তু তার দর্শন ছিল শিক্ষাকে নিয়েই এগোতে হবে। তিনি মনে করতেন, শিক্ষায় অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, হাল ছাড়লে হবে না। তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি শিক্ষার উন্নয়নে কথা বলেছেন।’

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘শিক্ষায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের চিন্তা, আদর্শ ও কৃতি’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধূরী। সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রথম উপ-উপাচার্য ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ। এছাড়া বিশিষ্ট প্যানেলিস্ট হিসেবে ব্র্যাক গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. মনজুর আহমেদ এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।

এসময় ড. হোসেন জিল্লুর বলেন, মানুষকে কেন্দ্রে রেখে উন্নয়ন চিন্তা করতেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। শিক্ষার বহুমাত্রিকতাকে ধারণ করে কাজ করে গেছেন তিনি। চলে যাওয়ার পরও আবেদ ভাই প্রাসঙ্গিক। আমরা তার দেখানো পথে কাজ করে যাব।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন আবেদ ভাই। যেকোনো সমস্যা সমাধানে তিনি গবেষণাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন।

স্যার আবেদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের কথা মনে করে রাশেদা কে চৌধুরী জানান, আবেদ ভাই শেষ বিদায়ের আগে বলেছিলেন, ‘শিক্ষায় অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, হাল ছেড়ো না’। মৃত্যুপথযাত্রী একজন ব্যক্তি মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে কথা না বলে শিক্ষার উন্নয়নে কথা বলে গেছেন।

ড. মনজুর আহমেদ বলেন, স্যার আবেদের কর্মপরিধি ব্যাপক। কিন্তু তার দর্শন ছিল শিক্ষাকে নিয়েই এগোতে হবে।

ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেন, সবসময় মানুষের কথা শুনতেন আবেদ ভাই। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন শিক্ষার উন্নয়নকে।

অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে টিকে থেকে পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম- এ ধারণা থেকেই স্যার আবেদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ মানুষের জীবনে পরিবর্তন চেয়েছেন। সেই পরিবর্তন ছিল মানুষের জীবনমানে গুণগত পরিবর্তন। যা করতে চেয়েছেন, তিনি তা করেছেন। শুধু স্বপ্ন দেখেই থেমে যাননি, বাস্তবায়নের জন্য জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে গেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এসকেবি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।