ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নজিরবিহীন দেয়ালচিত্র আঁকলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
নজিরবিহীন দেয়ালচিত্র আঁকলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা দেয়ালচিত্র। ছবি: বাংলানিউজ

শাবিপ্রবি: দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও নজিরবিহীন দেয়ালচিত্র এঁকেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা একাত্তর ভাস্কর্যের পাশে মিনি অডিটোরিয়ামের পশ্চিমমুখী দেয়ালে শিক্ষার্থীদের গণঅংশগ্রহণে আঁকা হয়েছে এই চিত্রটি।

দেয়ালচিত্রটিতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বলতে শিক্ষার্থীরা কী বুঝছে সেটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মানেই জ্ঞান চর্চা ও উৎপাদনের একটি প্রতিষ্ঠান, যে জ্ঞান দেশের মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের কাজে প্রয়োগ করা হবে। দেশের সাধারণ মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকার বিনিময়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় চলে, সেই  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীদের দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে।

যার ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজ করতে হয় দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই।  

এ বিষয়গুলো সামনে রেখে চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে দেয়ালচিত্রটি। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কৃষক শ্রমিক ও আপামর সাধারণ জনতা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শিক্ষার্থীদের হাতে কলম তুলে দিচ্ছে, তুলে দিচ্ছে শিক্ষা উপকরণ। যাতে এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠি তাদের কথা বলে, তাদের জীবন সংগ্রামের সহযোগী হয়ে হাতে হাত ধরে এগিয়ে চলে।  

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বা আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যা মানুষের জীবন সংগ্রামের সঙ্গে ছাত্রদের একাত্মতার ইতিহাস আমাদের মনে করিয়ে দেয়।

স্মরণ করিয়ে দেয় জনগণের টাকায় চলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমাদের দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা৷ দেয়ালচিত্রটিতে এ বিষয়গুলো চমৎকারভাবে ফুঠে উঠেছে। উঠে এসেছে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও। প্রথাগত পাশ্চাত্য রীতির রৈখিক পরিপ্রেক্ষিত ভেঙে বৃত্তীয় পরিপ্রেক্ষিতের ব্যবহার করা হয়েছে ছবিটিতে। শিল্পমানের দিক থেকেও তাই এর আলাদা গুরুত্ব থাকবে বলে আশা করছে শিক্ষার্থীরা।

দেয়ালচিত্রটিতে নকশা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুব চন্দ্র রায়।  

তিনি বলেন, আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। কারণ আমরা দেশের সাধারণ মানুষের টাকায় পড়াশোনা করি। তাদের কষ্টে অর্জিত টাকায় দেওয়া ট্যাক্সের বিনিময়ে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেসেজটি ছড়িয়ে দিতে এ দেয়ালচিত্রটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
 
দেয়ালচিত্রটি আঁকতে অর্থায়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।