ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চলনবিলে খেজুর রসে বিষ ছিটিয়ে পাখি শিকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
চলনবিলে খেজুর রসে বিষ ছিটিয়ে পাখি শিকার

নাটোর: মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলে অভিনব কায়দায় খেজুর রসে দানাদার বিষ ছিটিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় পাখি শিকার চলছে। এতে নষ্ট হচ্ছে বিলের সৌন্দর্য্য। আর সেই বিষে নিধনকৃত পাখিগুলো খাচ্ছে চলনবিলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ এবং কম দামে কিনে নিচ্ছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। পাখি শিকার যে ‘আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ’ তা যেনেও তারা পাখি শিকার অব্যাহত রেখেছে। 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে নাটোর সিংড়া উপজেলার চলনবিলের কৃষ্ণপুর আত্রাই নদীর বাঁধে প্রায় কুড়িটি খেজুর গাছের রসের হাঁড়িতে দানাদার বিষের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আর এ রস খেয়ে মারা গেছে বুলবুলিসহ শতাধিক দেশীয় পাখি।

 

খবর পেয়ে স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা পাখিগুলো উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে দানাদার (বিষ) মিশ্রিত খেজুর রসের হাঁড়ি ও গাছ পানি দিয়ে ধুয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রভাষক হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিবেশ কর্মী মনির হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।  

চলনবিলের কলম ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হারুন-অর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, বর্ষার শেষ ভাগে বিলে পানি কমতে শুরু করায় মাছ খাওয়ার লোভে পরিযায়ীসহ দেশীয় প্রজাতির পাখিরা বিলে ভিড় জমায়। আবার শীতে খেজুর গাছের রসের হাঁড়িতে পাখিদের আনাগোনা দেখা যায়। আর এই সুযোগেই কিছু লোভী শিকারীরা দানাদার বিষ I কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে।

চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পাখি শিকার বন্ধে আইন থাকলেও চলনবিল এলাকায় সরকারি তেমন কোনো পদক্ষেপ ও তৎপরতা দেখা যায় না। বিলের পাখি শিকার বন্ধে সevর সমন্বিত পরিকল্পনা ও প্রতিটি আইন-শৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা দরকার।

সিংড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা হওয়ায় পাখি শিকার বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা সভা করছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।