বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ছাড়পত্র দেন। এ ঘটনায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভুক্তভোগী পাঁচ শিক্ষার্থী বিকেলে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ১০ ফেব্রুয়ারি জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য চাঁদা ধরা হয় ৪শ টাকা। ১৮ শিক্ষার্থী চাঁদার টাকা দিতে না পারায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেওয়া ১৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো- লিটন বাবু (রোল নম্বর-২১), আতিক বাবু (রোল নম্বর-৪৪), মুনকার নাঈম (রোল নম্বর-১৩), রাকিবুল ইসলাম (রোল নম্বর-২) ও রবিউল ইসলাম (রোল নম্বর-২৮)। এদের সবার বয়স ১২ থেকে ১৩ বছর। বাড়ি উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের জমিরহাট পাইকপাড়া গ্রামে।
লিটন বাবুর মা নুরবানু বেগম, রাকিবুল ইসলামের বাবা মমিনুল ইসলাম, আতিক বাবুর বাবা মতিয়ার রহমান, মুনকার নাঈমের বাবা সাইদুল হক ও রবিউল ইসলামের বাবা রশিদুল হক বাংলানিউজকে জানান, নির্ধারিত চাঁদার টাকা দিতে না পারায় আমাদের সন্তানেরা স্কুলের বনভোজনে অংশ নিতে পারেনি। এজন্য প্রধান শিক্ষক তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দিয়েছেন। আমরা প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের উপযুক্ত বিচার ও অপসারণ দাবি করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, এবছর বিদ্যালয়ের ২৫০ শিক্ষার্থী বনভোজনে অংশ নেয়। অন্যদিকে, এলাকার কিছু বখাটে ছেলে পৃথকভাবে একটি বাস ও দুটি মাইক্রো নিয়ে আমাদের সঙ্গে একই স্থানে বনভোজনে যায়। এদের সঙ্গে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থীও ছিল। কিছু বখাটে ছেলে আমাদের স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। বখাটেদের সঙ্গে যাওয়ার অপরাধে তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
তবে বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেওয়ার কথা স্বীকার করে কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলেও জানান প্রধান শিক্ষক।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এসএইচ