রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টার দিকে তারা চেম্বার ভবনে আগুনের খবর পায়। খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
রাজশাহী চেম্বার ভবনের সাততলায় গ্রিন রিয়েল স্টেট কোম্পানির অফিস ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে-বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। সকালে অফিস খুলতে গিয়ে ওই ফ্লোরের ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
পরে সদর দফতরের তিনটি ইউনিট ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা একটি ইউনিট মিলে মোট চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনায় চেম্বার ভবনের সাততলার ওই ফ্লোরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এখনও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব-নিকাশ চলছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এই কর্মকর্তা।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) জাকির হোসেন জানান, চেম্বার ভবনের সাততলা ওই ফ্লোরে গ্রিন রিয়েল স্টেট কোম্পানির অফিসে লাগা আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বর্তমানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে। ওই কোম্পানির এমডি মোস্তাফিজুর রহমান তাদের জানিয়েছেন, অফিসে নগদ পাঁচলাখ টাকা ছিল।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে তাদের আরও ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এসএস/এএটি