শুক্রবার (০৬ মার্চ) রাতে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান নিশ্চিত করেছেন শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
নিহতরা হলেন, নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের আব্বাস উদ্দিন (৫০), তার ছেলে ইমন মিয়া (২৫) ও মাহবুব হোসেন রাব্বী (২১), একই উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মহসিন মিয়া (৫৭), কুতুবপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব হাসান (২৫), গণি তালুকদারের ছেলে খলিল মিয়া (৩০), কুসুমবাগ গ্রামের বেলায়েত হোসেনের স্ত্রী সুমনা বেগম (৩৫), বেলায়েত মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার (৪), বরগুনা জেলার আমতলি উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের তোতা খাঁ’র ছেলে ইমরান হোসেন (২০) ও বরিশাল সদর উপজেলার কামাড়পাড়া এলাকার মজিবুর রহমানের স্ত্রী আছমা আক্তার (৩৫)।
>>>নবীগঞ্জে গাছের সঙ্গে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নারীসহ নিহত ৮
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন সদস্য রয়েছে। এছাড়া সবাই নিকটাত্মীয়। ১০ জনের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান আটজন। পরবর্তীতে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু খাদিজা এবং সুমনা বেগমের মৃত্যু হয়।
এরআগে, শুক্রবার ভোরে অতিরিক্ত যাত্রী অর্থাৎ ১২ জন নিয়ে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থেকে সিলেটের দিকে যাচ্ছিল মাইক্রেবাসটি। মাইক্রেবাসটি কান্দিগাঁও এলাকায় গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই মারা যান আটজন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আটটি মরদেহ উদ্ধার করেন এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বিকেলে সিলেট হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরো দুইজনের।
ওসি এরশাদুল হক জানান, হবু স্ত্রীকে আংটি পড়ানোর উদ্দেশে তারা সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন সবাই।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এনটি