ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে নারী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২০
জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে নারী রামেক হাসপতাল

রাজশাহী: তীব্র জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপতালে ভর্তি হওয়া এক নারী এখন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রোববার (২২ মার্চ) রাতে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

তবে তার শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা তার পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি এখনো। এজন্য তাকে আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়নি। তাছাড়া আইসোলেশন ইউনিটে আইসিইউ এর ব্যবস্থা নেই। পরীক্ষা না হওয়ার কারণে এই রোগীকে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।

রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর বয়স ৪৬ বছর। তিনি গত শুক্রবার (২০ মার্চ) সর্দি-জ্বর নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। গত রোববার বিকেলে তার জ্বর ১০৩ ডিগ্রিতে উঠে যায়। এরপর তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতির দিকে যাওয়ায় রোববার রাতে তাকে হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, এই রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন না। তার স্বজনেরা বলতে পারছেন না যে, তিনি ভাইরাস বহনকারী কারও সংস্পর্শে গিয়েছেন। তবে পরীক্ষা না করার পর্যন্ত তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না। এই অনিশ্চয়তা নিয়ে তারা একটু সঙ্কায় রয়েছেন। এজন্য এই আইসিইউ ইউনিটের দায়িত্বরত সবার সুরক্ষা পোশাকের ব্যবস্থা করেছেন।

গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে তার এই বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে যোগাযোগ করেছেন। পরীক্ষার জন্য তাদের আসতে বলা হয়েছে। তারা আসতেও চেয়েছে। কিন্তু বুঝতে পারছেন না যে, ঢাকা থেকে তারা আসতে পারবেন কিনা।

জানতে চাইলে রামেক হাসপাতাল উপ-পরিচালক ডা.সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার কিট নেই। তারা চেষ্টা করছেন এখান থেকে রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো যায় কিনা। তবে এই রোগীর সেই ধরনের কোনো ‘হিস্ট্রি’ নেই যে বিদেশফেরত বা ভাইরাসবহনকারী কারও সংস্পর্শে গেছেন। তারপরেও পরীক্ষা করতে পারলে তারা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারতেন। এজন্য তারা পরীক্ষার চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২০
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।