করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাওয়া নির্দেশনা মেনে প্রতিটি মসজিদে ইমামসহ ১০ জন করে জমায়েত হয়ে জুমার নামাজ আদায় করা হয়। রাজশাহীর মসজিদগুলোতে অল্প কয়েকজন একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন।
রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মসজিদগুলোতে ১০ জনের বেশি মুসল্লি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জুমার খুতবার সময় মুসল্লিরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মসজিদের ভেতরে বসেছিলেন। পরে তারা জামাতে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্ত রাখার ফরিয়াদ করেন।
রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ কিসমত কুখণ্ডি উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মতিউর রহমান সুমন বাংলানিউজকে বলেন, মসজিদে ১০ জনের বেশি একত্রিত না হয়ে জুমার নামাজ আদায়ের সরকারি নির্দেশনার চিঠি পেয়েছি। শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য ১০ জন ব্যক্তি যখন মসজিদে চলে আসেন, তখন গেট লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে মোয়াজ্জিনসহ মোট ১০ জন জামাতে নামাজ আদায় করি।
তিনি বলেন, আমি ও মোয়াজ্জিনের পর যে আটজন আগে এসেছেন তারাই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পেরেছেন। পরে কেউ এলে তাকে বাড়িতেই গিয়ে নামাজ আদায় করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, সারাজীবনে এ ধরনের পরিস্থিতি কখনও দেখেননি উল্লেখ করেন নগরীর আসাম কলোনী ইঞ্জিনিয়ার পাড়া এলাকার বায়তুল আমান জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন নোমান ইসলাম। তিনি বলেন, আজ অনেকেই জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে এসেছিল। কিন্তু গুনে গুনে দশজন হওয়ার পর বাধ্য হয়েই মসজিদের মূল ফটক আটকে দিতে হয়েছে। এটি অনেক কষ্টের। তবে জনস্বার্থে তা করা হয়েছে। এছাড়া ওয়াক্তের নামাজেও পাঁচজন করে মসজিদে থাকছেন। এমন পরিস্থিতি খুবই বেদনাদায়ক! তাই নামাজ শেষে আজ মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এসএস/টিএ