ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীর সড়কে বাড়ছে জনসমাগম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
রাজশাহীর সড়কে বাড়ছে জনসমাগম

রাজশাহী: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কাঁপছে গোটা দেশ। রোববার (১২ এপ্রিল) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এমন অবস্থায় রাজশাহীর সড়কগুলোতে বেড়েছে জনসমাগম। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘর থেকে বের হয়ে আসছে মানুষ, গত দু’দিনে এমনটাই দেখা গেছে।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মহানগরের সাহেব বাজার, জিরোপয়েন্ট, আলুপট্টি, কুমারপাড়া, লক্ষ্মীপুর, সিঅ্যান্ডবির মোড়, গোরহাঙ্গার ও শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান চত্বরে গিয়ে দেখা যায় ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি। অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা।

দেখে বোঝার উপায় নেই রাজশাহীতে অঘোষিত লকডাউন চলছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত থাকলেও ঢিলেঢালাভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো রকম বাধা না থাকায় সড়কে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

তবে করোনা ভাইরাস যেহেতু ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়ে তাই সবাইকে ঘরে থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। কারণ চলমান এ ছুটির মূল উদ্দেশ্যই ছিল কোয়ারেন্টিন বা সঙ্গনিরোধ। কিন্তু হালে রাজশাহীর পরিস্থিতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। কোনো কোনো এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে তাড়া দিলে লোকজন বাড়ি বা গলিপথে ঢুকে যাচ্ছেন।

আবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চলে যাওয়ার পরপরই সবাই বাইরে সড়কে নেমে আসছেন। সচেতনতার অভাবে মানুষ যেন ঘরে থাকতেই চাচ্ছে না। আবার যারা ঘরে থাকছেন তারাও মাঝে মধ্যেই দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন কাজ-কর্ম, খেলা বা আড্ডায় মেতে উঠছেন।  

তবে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে এরইমধ্যে রাজশাহীর কাঁচাবাজারে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। রোববার সকাল থেকেই কাঁচাবাজারে অবস্থান নেন সেনা সদস্যরা। এসময় তারা বাজারে আসা মানুষদের সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে কাজ সারার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে মুখে মাস্ক পড়া নিশ্চিত করেন।

এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে জেলা প্রসাশন রাজশাহীর কাঁচাবাজারকে একমুখী করেছে। আগে এ বাজারে রাস্তার দু’পাশেই ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে বিক্রি করতেন।

জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক জানান, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। সেনা সদস্যরা এজন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। তাদের পাশাপাশি পুলিশসহ অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহর ও উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।