এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বয় বাড়াতে অনলাইনে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন অবস্থায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা: বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ বিষয়ক এ অনলাইন মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহনকারীরা আলোচনা শেষে কতগুলো সুপারিশ তুলে ধরেন:
লকডাউনের কারণে দেশব্যাপী পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বাড়ায় বিষয়টি প্রস্তাবিত ভার্চুয়াল কোর্ট প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত করা, বাংলাদেশ পুলিশের অনলাইনে জিডি দায়ের প্রক্রিয়া সক্রিয় করা এবং সারাদেশে এই সেবা চালুর ব্যবস্থা করা, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সিআইডিভি ও আরিএলআর কোয়ালিশনের সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থার হটলাইন ও হেল্পলাইনের নম্বর একত্রে একটি তালিকা তৈরি করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে সরকারি-বেসরকারি শেল্টারহোমগুলোতে বর্তমানে আশ্রয়ের জন্য কোনো ভিকটিমকে গ্রহণ করা হচ্ছে না বিধায় ভিকটিমদের সুরক্ষার জন্য শেল্টারহোমগুলোতে করোনা ভাইরাস টেস্টের ব্যবস্থা করা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনলাইন ও টেলি কাউন্সেলিংয়ের নম্বর প্রচার করে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা ৬. আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পারিবারিক সহিংসতা বা নির্যাতন বন্ধ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন সামনে রেখে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বিগ্ন পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ জোট এবং রেইপ ল রিফর্ম কোয়ালিশনের সচিবালয় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) আয়োজনে সভায় অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ সংস্থা থেকে লকডাউন পরিস্থিতিতে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে কি কি কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতে কীভাবে কাজ করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
এএ