গত ১৩ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তৃতীয় দফায় মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) তার নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ পাওয়া যায়।
জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় টেক্সাইল প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজশাহীর দ্বিতীয় এবং বাগমারা উপজেলার প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী ছিলেন।
তার চিকিৎসা গ্রহণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নিজের করোনা পজিটিভ থেকে নেগেটিভে আসার বর্ণনা দেন তিনি। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুরো সময়টুকু আমি মনোবল শক্ত রেখেছিলাম। করোনাকে জয় করতে পারবো এমন আত্মবিশ্বাস ছিল। পরিবারের লোকজন কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিল। তাদেরও সাহস যুগিয়েছি।
কীভাবে তিনি সুস্থ হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, গত ৬ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজশাহী আসার পর থেকে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলাম। তখন শরীরে জ্বর, কাশি ও হালকা শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শ নিই। গত ১১ এপ্রিল তারা বাড়িতে এসে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি নমুন সংগ্রহ করে নিয়ে যান। পরে রিপোর্ট আসে পজিটিভ।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ওষুধ সেবন করেছি। এগুলো ছিল মূলত জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক। চিকিৎসকের পরামর্শে পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ঘনঘন গারগিল করেছি। কিছুক্ষণ পর পর হালকা গরম পানি পান করেছি। এছাড়া নিয়মিত চা পান করেছি।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বাগমারার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকার নির্দেশিত নিয়ম মেনে ঘরে অবস্থান করা উচিত।
নিজেকে করোনামুক্ত হওয়ার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তরুণ এই প্রকৌশলী।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় গত ১৮ এপ্রিল তার নমুনা নেওয়া হয়। এর আগে ১৪ এপ্রিল তার সংস্পর্শে আসা পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছিল। তাদের রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। এরপর জাহাঙ্গীরের নমুনার ফলাফলও নেগেটিভ আসে। ফলে জাহাঙ্গীর এখন করোনামুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
এসএস/এএ