পরীক্ষা শেষে রাতে রামেকের ল্যাব কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে। বিষয়টি এরইমধ্যে নওগাঁ জেলার সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একই তথ্য উল্লেখ করে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা এনামুল হক বলেন, রামেকের ল্যাবে মোট ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে। শুক্রবার ৯৪ জনেরই নমুনা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করা হয়। তবে নমুনায় ত্রুটি থাকায় মাত্র ৫২টির পরীক্ষা সম্ভব হয়। এরমধ্যে ৫১টির রিপোর্টই নেগেটিভ। শুধু নওগাঁর এক রোগীর করোনা পজিটিভ।
গত ১২ এপ্রিল প্রথম রাজশাহীর কোনো ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয় এ ল্যাবে। এরপর গত বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত রাজশাহীর মোট ১৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এরমধ্যে রাজশাহীর সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তবে মৃত্যুর আগে করোনা পজিটিভ এলেও মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। অর্থাৎ করোনায় তার মৃত্যু হয়নি।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আটজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন।
গত ২৮ এপ্রিল একদিনেই চারজন শনাক্ত হন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ জনে। এ ১২ জনের বাড়ি পুঠিয়া, বাগমারা, বাঘা, মোহনপুর, তানোর ও পবা উপজেলায়। সর্বশেষ দুর্গাপুর উপজেলাতেও করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে রাজশাহী মহানগর এবং জেলার গোদাগাড়ী ও চারঘাট উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
এসএস/আরবি/