রোববার (৯ মে) রাত থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বৃত্ত আঁকার কাজ চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতা জানান, এরই মধ্যে রেলওয়ের মহাপরিচালকের দফতর থেকে প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা এসেছে। গত ৮ মে রাজশাহী রেলভবনে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সভাও হয়েছে।
সভায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের (জিএম) ট্রেন চালু হলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট বিক্রি, ট্রেনগুলো জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থা ও যাত্রীদের স্যানিটাইজেশনের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। যেন রেলওয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সময় ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত এলে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা যায়।
আরো পড়ুন>>>স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল
এই লক্ষ্যে রোববার থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার এবং প্ল্যাটফর্মে বৃত্ত আঁকার কাজ শুরু হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে এই বৃত্তের ওপর দাঁড়িয়ে যেন যাত্রীরা নিরাপদে টিকিট কিনতে পারেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শুধু বৃত্ত অঙ্কনই নয়, স্টেশনে ঢোকার আগে হাত ধোয়ারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও করা হচ্ছে জোরদার। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দ্রুতই ট্রেন চালু হচ্ছে বলে ধারণা করছেন সবাই।
জানতে চাইলে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, রেলেওয়ে স্টেশনে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য বৃত্ত আঁকা হলেও আপাতত ট্রেন চালুর সম্ভাবনা নেই। এমন কোনো বার্তাই তারা পাননি। তবে ঈদের পর সীমিত পরিসরে ট্রেন চালুর সম্ভাবনা থাকায় আগাম কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ ভুঁইয়া, বিভাগীয় মেডিক্যাল অফিসার মারুফ হাসান ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী এই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন স্টেশন ব্যবস্থাপক।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম বলেন, সরকারি নির্দেশনা আসার পর গত ২৫ মার্চ রাত থেকে পশ্চিমাঞ্চল রুটের সব যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তবে পঞ্চগড় থেকে ঢাকামুখী মালবাহী এবং নিত্যপণ্যবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অচিরে খুলনা-ঢাকা রুটেও নিত্যপণ্যবাহী ট্রেন চালু হবে।
তবে এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, পণ্যবাহী ট্রেন তো চলছে, সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পার্সেল ট্রেন।
যাত্রীবাহী ট্রেনের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে আপনারা জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এসএস/এএ