বুধবার (১০ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে প্রসঙ্গক্রমে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের করোনা পরিস্থিতি ও সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ ছিল। গরীব, অসহায় মানুষ, যারা দিন আনে দিন খায়, তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। (এই অবস্থায় এ মানুষগুলো) যারা যেখানে আছে তাদের সবার খবর নিয়ে খুঁজে খুঁজে বের করে সাহায্য দিয়েছি। আমরা ছোট বোন রেহানা এসব বিষয়ে আমাকে তাগিদ দিয়েছে। অসহায় মানুষের কষ্ট যাতে একটু লাঘব করা যায়, আমরা সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
‘আমাদের দলের নেতাকর্মী, বিত্তশালী সবাই অসহায় মানুষদের সাহায্য করছে। করোনায় মৃত ব্যক্তিকে অনেক পরিবারের লোক দাফন করতে সাহস পাচ্ছে না। মানুষ এতো ভীত হয়ে পড়বে ভাবতে পারিনি। মৃতদেহ ফেলে চলে যাচ্ছে। পুলিশ নিয়ে তাদের দাফন করছে। ছাত্রলীগের কর্মীরা দাফন করছে। কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ কর্মীরা। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। ’
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষের মধ্যে কেমন যেন একটা আতঙ্ক বিরাজমান। সারা বিশ্বেই এই পরিস্থিতি চলছে। যে যতই শক্তিশালী হোক, কোনো কিছুই কাজে আসছে না। মানুষের মধ্যে একটা অস্বস্তি বিরাজ করছে। (আমাদের এখানে) করোনা ভাইরাসের সঙ্গে আবার ঘূর্ণিঝড় আম্পান। (আমরা এ পরিস্থিতিতেও) আম্পানে ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরানোর ব্যবস্থা করেছি। গৃহপালিত ৬ লাখ গবাদি পশুও সরানো হয়েছে। প্রত্যেকের খাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সুরক্ষাবিধি মেনেই কিন্তু এসব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
এসকে/এইচজে