সোমবার (৬ জুলাই) অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটির উত্তরা শাখার ল্যাবে গিয়ে অনিয়মের এমন চিত্র দেখতে পায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে দেখা যায়, করোনা টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিতো রিজেন্টের উত্তরা শাখা।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এখানে এসে দেখেছি তারা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত অসংখ্য নমুনার মধ্যে তারা মাত্র ৪২ টি নমুনা পরীক্ষা করেছে। এর বাইরে অনেক নমুনা পরীক্ষা না করেই করোনা ‘নেগেটিভ-পজিটিভ’ রিপোর্ট দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২৬ জনের নমুনা পেয়েছি, যেগুলো পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে হাসপাতালটি।
তিনি বলেন, উত্তরা হাসপাতাল ভবনের পাশের ভবনে রিজেন্টের আইটি শাখা। সেখানেই নমুনা সংগ্রহের ভুয়া আইডি তৈরি করে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছিলো। এভাবে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
মনগড়া রিপোর্ট তৈরি ছাড়াও অভিযানের গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে র্যাব। হাসপাতালটিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুধু ভর্তি রোগীদের করোনা টেস্ট ও চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছিল। উদ্ধার করা ভুয়া রিপোর্টের অধিকাংশ নমুনাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছিল।
করোনার পরীক্ষা বিনামূল্যে করার কথা থাকলেও রোগীদের কাছ থেকে তিন থেকে সাড়ে তিনহাজার টাকা আদায় করতো বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এছাড়া হাসপাতালটি ২০১৪ সালের পর তাদের লাইসেন্স আর নবায়ন করেনি। শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। অভিযান চলাকালে হাসপাতালের চেয়ারম্যানকে উপস্থিত হতে বলেও তিনি উপস্থিত হননি।
এদিকে, রিজেন্টের উত্তরা শাখায় অভিযান চলাকালে হাসপাতালটির মিরপুরের শাখা ঘিরে রাখে র্যাব সদস্যরা। পরে সেখানেও অভিযান শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
পিএম/ওএইচ/