ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যা, মানবপাচারকারীর স্বীকারোক্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যা, মানবপাচারকারীর স্বীকারোক্তি

হবিগঞ্জ: লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে খুনের ঘটনায় মোশাররফ হোসেন (৪২) নামে মানব পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ক্রিমিন্যাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। টাকা লেনদেন ও আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে তার কাছ থেকে।

গ্রেফতার মোশাররফ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাইল গ্রামের মৃত হাতেম মাতব্বরের ছেলে সে।

গত ২৮ মে লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন প্রাণ হারান হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের গাজী মোতালেব হোসেনের ছেলে তানিম মাহমুদ তোফাজ্জল। পরে নিহত তানিমের বড় ভাই কাউছার আলী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত অন্তত ২৫ জনকে আসামী রেখে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আসামির তালিকায় রয়েছেন বানিয়াচং উপজেলার কুমড়ি গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে শামীমও। মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

হবিগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক মুন্সী আব্দুল কদ্দুছ বাংলানিউজকে জানান, গত ২০১৬ সালের ২৬ মে ভ্রমন ভিসায় দুবাই যান বানিয়াচংয়ের তোফাজ্জল। সেখান থেকে তাকে ইতালী পাঠানোর প্রলোভন দেয় আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্র। তোফাজ্জলসহ তিনজনকে ইতালী পাঠাতে ৭ লাখ টাকা দাবি করে তারা। এক পর্যায়ে তিনজনের পরিবার কুমড়ি গ্রামের শামীমকে ৭ লাখ টাকা দেয়। শামীম পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে সেই টাকার ৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা মোশাররফের কাছে পাঠায়। বাকী ২ লাখ ৩২ হাজার রেখে দেয় তার নিজের কাছে।

এদিকে, বাড়ি থেকে টাকা পাঠানোর পর স্বপ্নের দেশ ইউরোপে যাওয়ার পথ ধরেন তোফাজ্জল। এক পর্যায়ে গত ২৮ মে লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে নাইজেরিয় নাগরিকরা। সেখানে মারা যান তোফাজ্জলও।

সিআইডি জানায়, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে হবিগঞ্জ সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহ মামুনের নেতৃত্বে গত ২৫ জুন মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম সহযোগী মোশারফ হোসেনকে ফরিদপুরের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার সাথে আরো অনেকেই জড়িত রয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত মোশারফ হোসেন মুক্তিপণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে। অচিরেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।