ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

দীপন নন্দী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা শেষ সময়ে জম উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ঈদুল আজহার কেনাকাটার মূল আর্কষণটি অবশ্যই কোরবানির পশু। সঙ্গে কোরবানির অনুষঙ্গ।

এসবের ভিড়ে পোশাকের বিকিকিনিও নেহাত মন্দ হয় না। তবে দুয়ারে ঈদ কড়া নাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা।

করোনা সংক্রমণের কারণে ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা মোটেও জমেনি। ব্যবসায়ীদের ধারণা ছিল ঈদুল আজহায় গত ঈদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু সে আশা পুরোপুরি পূরণ না হলেও, একেবারে হতাশ হতে হচ্ছে না তাদের।

বিপণি বিতানগুলোতে আগের চেয়ে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে অনেক। যথা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিপণি বিতানগুলোতেও ঘুরছেন তারা। তবে বিক্রি সেভাবে হচ্ছে না বলেই জানালেন দোকানিরা।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর সবচেয়ে বড় বিপণি বিতান বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বেশ ভালোই ভিড়। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তবেই প্রবেশ করতে হচ্ছে বসুন্ধরা সিটিতে। এ বিষয়ে সিটি কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার ছাড় দিতে নারাজ। যাতে রাজধানীর অন্যান্য বিপণি বিতানের তুলনায় এখানে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন ক্রেতারা।

কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা হাবিবুল ইসলাম সুমন বলেন, করোনার কারণে অন্যান্য মার্কেটে যেতে ভয় লাগে। কিন্তু এখানকার স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টির কারণে এখানে এসে স্বস্তিবোধ করছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমলে ঢুকছেন ক্রেতারা/ছবি: ডিএইচ বাদল

বসুন্ধরা সিটির নীচতলায় ফ্যাশন হাউজ লুবনানের ব্যবস্থাপক রিয়াজ হোসেন রাজু বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শনিবার পর‌্যন্ত ভালো বিক্রি হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে রোজার ঈদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণের ভয়ে ঈদুল ফিতরের সময় কিন্তু বড় বিপণি বিতানগুলো সবই বন্ধ ছিল। সে সঙ্গে মানুষের মাঝে তখন আতঙ্কও বেশি ছিল। এখন যেহেতু সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে মানুষ নিজের জন্য, পরিবারের জন্য কেনাকাটা করছেন।

এদিকে, বসুন্ধরা সিটি জুড়ে এখন চলছে ছাড়া। ‘সামার সেল’ নামে প্রায় সব ফ্যাশন হাউজেই ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ক্যাটস আইয়ের ব্যবস্থাপক আক্তারুজ্জামান বলেন, আমাদের এখানে সব পণ্যে ৪০ শতাংশ ছাড় দেয়া হচ্ছে। যাতে আমাদের বিক্রি বেড়েছে।

সারাবছরই ভিড় জমে থাকা নিউ মার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এখন ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর। প্রতিদিনই এখানে কেনাকাটার জন্য ভিড় বাড়ছে। তবে সেখানে লঙ্ঘিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।

নিউ মার্কেটের সায়েম ফ্যাশন সত্বাধিকারী আসিফ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, নিউ মার্কেট এখন বেশ জমে উঠেছে। ক্রেতার জন্য অপেক্ষা কিছুটা কমেছে। ঈদুল ফিতরে যারা নতুন পোশাক কেনেননি, তারা ঈদুল আজহায় কিনছেন।

এ বিষয়ে নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নিউ মার্কেট বা এর আশপাশের বিপণি বিতানের মূল ক্রেতারা কিন্তু ঘরে মা-বোনেরা। তারা মূলত বিকেলের পরে মার্কেটে আসেন। কিন্তু বিকাল চারটায় মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের মূল ক্রেতারা আসেননি। এখন সাতটা পর‌্যন্ত মার্কেট খোলা, সেখানেও খুব একটা লাভ হবে না। কারণ সাতটায় মাগরিবের আযান দেয়। মার্কেট বন্ধ করার সময় রাত নয়টা পর‌্যন্ত করলে ভালো হতো।

রোজার ঈদের লটের সঙ্গে নতুন নকশার পোশাকও আনছেন অনেক ব্যবসায়ী। রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের ফ্যাশন হাউজ ঢাকঢোল’র কর্ণধার আব্দুল্লাহ রায়হান বলেন, রোজার ঈদে আমাদের মার্কেট খোলা ছিল। কিন্তু বিক্রিবাট্টা হয়েছে। এবার কোরবানির ঈদে নতুন পোশাক এনেছি। বিক্রিও খারাপ না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
ডিএন/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।