কক্সবাজার: পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
কক্সবাজারে আদালতে তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা মামলায় বুধবার (৫ আগস্ট) নয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ খান।
এ ঘটনায় বুধবার কক্সবাজারে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওসি প্রদীপ ও মো. লিয়াকতসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সাবেক মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, আদালতের আদেশ মতে দায়ের করা মামলাটি বুধবার রাতেই টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত একটি হত্যা মামলা হিসাবে রুজু করা হয়েছে। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)। দণ্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় রুজু হওয়া এ মামলায় এজাহারভুক্ত নয়জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত ছাড়া মামলায় এসআই নন্দলাল রক্ষিত, এসআই টুটুল, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও কনস্টেবল মো. মোস্তফার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
এ মামলায় সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গী ও ৩১ জুলাই এর ঘটনায় টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সাহেদুল ইসলাম সিফাতসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২০
এসবি/ওএইচ/