ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে উদ্ধারকৃত বোমাসদৃশ বস্তুটি ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২০
সিলেটে উদ্ধারকৃত বোমাসদৃশ বস্তুটি ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’ উদ্ধারকৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: অবশেষে ২১ ঘণ্টার পর রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার অবসান হয়েছে। সেনা বাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল গিয়ে বোমাসদৃশ বস্তুটি মোটরসাইকেল থেকে সরিয়ে নিয়েছে।

তবে, সেটি বোমা ছিলো না, স্রেফ একটি ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’।  
 
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে মোটরসাইকেলে রাখা বস্তুটি উদ্ধার করা হয়।

বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের লে. কর্নেল রাহাত বলেন, সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা পেয়ে সিলেটে থাকা ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও ধ্বংসকরণ টিম আমরা এখানে আসি। বুধবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় একজন পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে সন্দেহজনক বস্তুটি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পুলিশ বাহিনী থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এই অবজেক্টটা ইন্সপেকশন ও পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
 
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এসে আমাদের পদ্ধতি অবলম্বন করেছি, পরিদর্শন করেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা একটা ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’। কিন্তু এখানে যাতে অন্য ধরনের সন্দেহজনক বস্তু না থাকে, এটা নিশ্চিত করতে আমাদের নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করেছি। এরপর নিশ্চিত হতে আমরা এটাকে খুলেছি। ’কথা বলছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের লে. কর্নেল রাহাত।
 লে. কর্নেল রাহাত আরও বলেন, ‘হতে পারে কেউ আতঙ্ক ছড়াতে এটা পুলিশ সদস্যের গাড়িতে রেখে যায়। ’
 
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘আমরা দুই দিক থেকে চিন্তা করেছি। ভুলবশত; কেউ ‘গ্রাইন্ডিং মেশিনটা’ এখানে রেখে যেতে পারেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি, সরকারি গাড়ি, সেজন্য আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বা জনমনে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টির জন্য হয়তো কেউ রেখে থাকতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
 
এর আগে দুপুর সোয়া ২টার দিকে সেনা বাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেই উদ্ধার কাজ শুরু করেন। টিমের দুই সদস্য মোটরসাইকেল থেকে বস্তুটিকে আলাদা করে নেন।
 
বুধবার সন্ধ্যায় ৭টায় নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিংহবাড়ির পাশে (পূর্বের পুলিশ চেকপোস্টের সামনে) দাঁড় করিয়ে রাখা আধুনিক মডেলের একটি মোটরসাইকেলে সন্দেহজনক ডিভাইস লাগানো দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে জায়গাটিকে ফিতা টেনে ঘিরে রাখেন। ওই সড়কে যান চলাচলও বন্ধ করে দেন।
 
জানা গেছে, পুলিশ সার্জেন্ট চয়ন নাইডু নগরের চৌহাট্টা ট্রাফিক বক্স সংলগ্ন সড়কে কালো রঙের পালসার মোটরসাইকেলটি (ঢাকা মেট্রো ১৪-৯২৭০) রেখে সানগ্লাস কিনতে একটি দোকানে যান। তখন বিদ্যুৎ ছিলো না। ফিরে এসে দেখতে পান তার পেছানো লাল রঙের ডিভাইসটি মোটরসাইকেলে রাখা। তাৎক্ষণিক তিনি ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
 
পরে মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে জায়গাটিকে ফিতা টেনে ঘিরে রাখেন। ওই সড়কে যান চলাচলও বন্ধ করে দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২০
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad