ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিনহা হত্যা মামলা: প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ তদন্ত করবে র‌্যাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২০
সিনহা হত্যা মামলা: প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ তদন্ত করবে র‌্যাব প্রয়াত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ

ঢাকা: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ তদন্তের কথা জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) র‌্যাব সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, মেজর সিনহা মো. রাশেদ নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলাটির তদন্তভার সাত দিনের মধ্যে র‌্যাবের ওপর ন্যাস্ত করার আদেশ প্রদান করেন আদালত। সে অনুযায়ী কক্সবাজারের র‌্যাব -১৫ ব্যাটালিয়ন বৃহস্পতিবার টেকনাফ থানা থেকে মামলার সকল নথি গ্রহণ করে এবং পরবর্তীকালে আমরা আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করি। এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং চাঞ্চল্যকর মামলা, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মামলাটি র‌্যাব তদন্ত করছে।

তিনি আরো জানান, মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসামি টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমারসহ সাতজন কক্সবাজারের আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। র‌্যাব -১৫ তাদেরকে সবার রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ওসি প্রদীপ কুমার, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো. লিয়াকত ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি আসামিদেরকে জেলগেটে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।

র‌্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, একটি বিষয় খুব পরিস্কারভাবে আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত হয়ে র‌্যাব এই মামলাটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। আমরা কোনোপ্রকার প্রভাব ছাড়াই নিরপেক্ষভাবে মামলাটি তদন্ত করবো এবং এ অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মামলায় মোট ৯ জন এজাহারনামীয় আসামি, বাকি যে দুইজন রয়েছেন তাদের বিষয়ে আরেকটু যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের দিকে আসার পথে বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির নামে গাড়ি থেকে নামিয়ে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় বুধবার (০৫ আগস্ট) টেকনাফ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওসি প্রদীপ, মো. লিয়াকতসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে রুজু এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) তদন্তের নির্দেশ দেন।

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত ছাড়া এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, এসআই টুটুল, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা। এরমধ্যে এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা বাদে সবাই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০  ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২০
পিএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad