ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উচ্চশিক্ষায় উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
উচ্চশিক্ষায় উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে: স্পিকার অনুষ্ঠানে অতিথিরা, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে উচ্চশিক্ষায় উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অদম্য বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দেন।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন রচিত ‘অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

স্পিকার বলেন, বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রযুক্তি নির্ভর উচ্চশিক্ষার বিষয়টি যেন আমরা ধারণ করি। অদম্য বাংলাদেশের অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবনকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফল অগ্রযাত্রা ও সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের খণ্ডচিত্র গ্রন্থটিতে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার বিষয়াদিও গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ও সুনিদিষ্ট কর্মপরিকল্পনা সুসংহত করতে এই গ্রন্থটি বেশ সহায়ক হবে।

স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখিয়েছিলেন ১৯৭৪ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এর ওপর ভিত্তি করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্য ও দেশপ্রেম যেকোনো সংকট উত্তোরণের ক্ষেত্রে মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করে। ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ হবে। কারণ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স্র, বিগ ড্যাটাসহ বিভিন্ন উপকরণগুলো সহজে এই গ্রন্থে তুলে ধরা হয়েছে। এই গ্রন্থটি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও আগ্রহ তৈরি করবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

এছাড়া কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

গ্রন্থটিতে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং আগামীর সম্ভাবনা নিয়ে ২৪টি নিবন্ধ রয়েছে। গ্রন্থটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে উৎসর্গ করা হয়েছে।

১২৬ পৃষ্ঠার ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে প্রথম পালক। অদম্য বাংলাদেশ এর প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও শিল্পনির্দেশনা দিয়েছেন এনকে কায়কোবাদ রানা এবং অলংকরণ করেছেন মামুন হোসাইন। গ্রন্থটির মূল্য ধরা হয়েছে ২৯০ টাকা।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. সাজ্জাদ হোসেনের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘প্রোগ্রামিং ইন সি’ শীর্ষক বইটি ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা ‘অদৃশ্য প্রযুক্তি’ বইটিও পাঠক প্রিয়তা অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।