খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে এক পাহাড়ি বাড়িতে ডাকাতি ও গণধর্ষণ ঘটনার মূলহোতা আল আমিনকে (৪০) দু’টি মামলায় একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুঁতি জান্নাতের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডাকাতি এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের পৃথক দু’টি মামলায় আল আমিনকে ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। বুধবার রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছিল আদালত।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম আবছার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আল আমিন খাগড়াছড়ির রামগড়ের তৈচালা এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে
ইতোমধ্যে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় আল আমিনসহ জড়িত ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ৬ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত আল আমিনকে সর্বশেষ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি শহরের বলপাইয়া পাড়ায় একটি বাড়িতে ডাকাতি ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে (২৬) গণধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত ৭ জনকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।
ঘটনায় স্বীকারোক্তি দেওয়া অন্য ৬ আসামি হলেন, খাগড়াছড়ির রামগড়ের দারোগাপাড়া এলাকার আহমদ উল্লাহর ছেলে অন্তর (২০), মাটিরাঙ্গার আদর্শ গ্রাম এলাকার হাবিল মিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম (২৮) ও মুসলিম পাড়ার শামছুল হকের ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৭), গুইমারার বড়পিলাক এলাকার আকবর আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (২১) ও আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহিন মিয়া (১৯) এবং খাগড়াছড়ির কুমিল্লাটিলা এলাকার আকবর আলীর ছেলে বেলাল (৩২)। অপর দুইজন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আসামিরা পেশাদার অপারাধী বলে জানায় পুলিশ। তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ বিক্রির টাকা, ডাকাতির টাকা এবং মোবাইল সেটসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্বার করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
এডি/এমআরএ