ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যশোরে বোমা মেরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২০
যশোরে বোমা মেরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ৫

যশোর: যশোরে দিনে-দুপুরে থানার একশ’ গজের মধ্যে বোমা ফাটিয়ে ১৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক এই ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানান।

 

তিনি আরও জানান, বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই পাঁচ চিহ্নিত অপরাধীকে আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে, ২ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ’ টাকা, ২টি চাকু, ব্যাগ ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল।  

ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী আটক হলেও বাস্তবায়নকারীসহ চিহ্নিত আরও দু’জনকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একজন গডফাদারের ছত্রছায়ায় এই অপরাধীরা থাকেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।  

আটককৃতরা হলো, যশোর শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার শফি দারোগার বাড়ির ভাড়াটিয়া ফরিদপুর জেলার মুনসুর মোল্যার ছেলে টিপু (২৪), শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে সাঈদ ইসলাম ওরফে শুভ (২৪), ধর্মতলা হ্যাচারিপাড়া এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন ওরফে ভাগনে বিল্লাল (২২), সিটি কলেজ ব্যাটারিপট্টি এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে রায়হান (২৮) ও পূর্ব বারান্দি মালোপাড়া এলাকার মুফতি আলী হুসাইনের ছেলে ইমদাদুল হক (২১)। এই টাকা লুটের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী টিপু এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী জামাই রাজ্জাক ফকির (আটক হয়নি)।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিনে-দুপুরে থানার একশ’ গজের মধ্যে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লি. (ইউসিবিএল) এর সামনে বোমা ফাটিয়ে ১৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছুরিকাঘাত ও বোমার আঘাতে টাকা বহনকারী দু’জন আহত হন।  

ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, আরএন রোড এলাকার আগমনী মোটরস্’র মালিক ইকবাল হোসেনের মোটরপার্টস ও ফলের আড়তের ব্যবসা রয়েছে। তার ভাই এনামুল হক ফলের আড়তের ১৭ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য যাচ্ছিল। এই আড়তের দীর্ঘদিন শ্রমিকের কাজ করতো টিপু। মাঝে মাধ্যেই এনামুল মোটরসাইকেলে করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যায়; বিষয়টি জানা ছিল তার। টিপুই এই টাকা লুটের পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পাশের ফল ব্যবসায়ী রাজ্জাক ফকির ওরফে জামাই রাজ্জাককে সঙ্গে নেয়। জামাই রাজ্জাকই বাকী অপরাধীদের যুক্ত করে।  

পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন আরও বলেন, ঘটনার সময় টিপু রাস্তার বিপরীত পাশে থেকে টাকা বহনকারী এনামুলকে সঙ্গীদের চিনিয়ে দেয়। এরপর তারা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ককটেল ফাটিয়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২০
ইউজি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।