ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

‘হারানো বিজ্ঞপ্তি’ নিয়ে প্রতারণা, পুলিশের জালে ধরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
‘হারানো বিজ্ঞপ্তি’ নিয়ে প্রতারণা, পুলিশের জালে ধরা হারানো বিজ্ঞপ্তি’ নিয়ে প্রতারণা, পুলিশের জালে ধরা

রাজশাহী: প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় চোখ রাখতেন ফারুক হোসেন ফিটু। পত্রিকায় নিখোঁজদের সন্ধানে কিংবা কোনোকিছু হারিয়ে যাওয়ার বিজ্ঞপ্তি খুঁজতেন।

বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়লেই ঠিকানা ও জিডির নম্বর সংগ্রহ করে নিজেকে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি পরিচয় দিতেন। এরপর চলতো নিখোঁজদের সন্ধান চাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ আদায়। সব টাকা তিনি নিতেন বিকাশের মাধ্যমে।

গত ৪ বছর ধরে এভাবে শত শত মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ আদায় করতেন ফারুক হোসেন ফিটু। এজন্য তিনি ব্যবহার করতেন ১৬টি মোবাইল ও ২৪টি সিম। সব সিম ও বিকাশ নম্বর রেজিস্ট্রেশনে তিনি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
 
এর আগে প্রতারণার দায়ে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) পাবনার আমিনপুর থানার চক আব্দুল শুকুর এলাকা থেকে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করে।
 
ফারুক হোসেন চক আব্দুল শুকুর গ্রামের নাদের শেখের ছেলে। তিনি পাবনা কাজির হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর ২০০১ সালে ঢাকায় গিয়ে টপিক্যাল সিকিউরিটি হোম’স লিমিটেড নামক সিকিউরিটি কোম্পানিতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চাকরি করেন। এরপর ৩ বছর পাবনায় থেকে ২০১২ সালে আবার ঢাকায় যান তিনি।  

২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্নস্থানে চা বিক্রি করেন। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে তিনি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায় করতেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজপাড়া থানার এস আই (নিরস্ত্র) আরএমপি সদর দপ্তরে অভিযোগ করেন, রাজপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদ আলমের পরিচয় দিয়ে ৪টি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে নগরীর ডাবতলা এলাকার ৩ জন ব্যক্তিকে ফোন করেন। ফোন করে পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি তদন্ত, উদ্ধার ও উদ্ধারকৃত ডকুমেন্ট পাঠানোর জন্য টাকা দাবি করেন। পরে তারা থানায় অভিযোগ করলে দেখা যায়, রাজপাড়া থানার এসআই মাসুদ ও থানার কেউ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। রাজপাড়া থানা পুলিশ মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে নম্বরগুলো পাঠিয়ে দেন। নম্বরগুলোর পাওয়ার পর ২১ দিন বিশ্লেষণ করে সাইবার ক্রাইম ইউনিট মিথ্যা পরিচয়দানকারী ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করে। এরপর তাকে পাবনা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রধান উৎপল কুমার চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১,  ২০২০
এসএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।