ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৬ বছর ধরে জাল নোটের কারবার করছিলেন পারভেজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
৬ বছর ধরে জাল নোটের কারবার করছিলেন পারভেজ

ঢাকা: গ্রেফতার কাজী মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীতে বসে জাল নোট তৈরি করে তা সরবরাহ করতেন এ চক্রের গ্রেফতার সদস্যরা। জাল নোটের পাশাপাশি এ চক্রটি জাল ডলার প্রস্তুত করে আসছিলেন।

প্রতি এক লাখ টাকা মূল্যের জালনোট ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

এর আগে ২৩ অক্টোবর রাজধানীর কোতোয়ালি ও আদাবর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতা কাজী মাসুদ পারভেজসহ ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেফতার বাকি সদস্যরা হলো- মো. মামুন, শিমু, রুহুল আলম, সোহেল রানা ও নাজমুল হক।

গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর কোতোয়ালি ও আদাবর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার মূল্যমানের জাল টাকা এবং ১১৩টি জাল ১০০ ডলারসহ দুই বান্ডেল ছাপানো জাল নোটের কাগজ, একটি ল্যাপটপ, দু’টি স্ক্যানার, একটি লেমিনেটর, দু’টি প্রিন্টার, ১২টি ট্রেসিং প্লেট, পাঁচ রিম জাল নোটের ছাপানো কাগজ, আট বোতল বিভিন্ন রং, জাল টাকার সিরিয়াল ক্রমিক নম্বর দেওয়ার সিল ও একটি প্রিমিও প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, এ চক্রটি গত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে জালনোট তৈরি করে আসছিল। তারা জালনোট ও জাল ডলার তৈরির পর খুচরা ও পাইকারি ভাবে বিক্রি ও বাজারজাত করতো।
চক্রটি সারা বছর জাল নোট তৈরি করলেও তারা ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জাল নোট তৈরি ও বাজার জাত করতো। প্রথমে আমরা আসামি  মামুন ও শিমুকে গ্রেফতার করি পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের মূলহোতাসহ বাকিদের  গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ চক্রের মূলহোতা কাজী রায়হান পারভেজের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।

আমরা আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ চক্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। তারা যাতে জামিনে বের হতে না পারেন সেজন্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
এসজেএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad