রংপুর: লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গুজব ছড়িয়ে সহিদুন্নবী জুয়েল নামে ব্যক্তিকে হত্যা ও মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রংপুরবাসী।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের পায়রা চত্তর এলাকায় মানববন্ধনে দ্রুত ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানায় স্থানীয়রা।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি চক্র বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তারই অংশ হিসেবে এরকম ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুড়িয়ে হত্যা করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বক্তারা বলেন, জুয়েল রংপুরের একজন মেধাবী সন্তান। তাকে ছোটবেলা থেকে আমরা চিনি ও জানি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ধর্মভীরু একজনকে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে উস্কে দিয়ে হত্যা করা হলো। আবার পুড়িয়ে মরদেহ ছাই করা হলো। পুরো দেশ এ ঘটনায় মর্মাহত হলেও ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমরা অতিদ্রুত জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, একজন মানুষকে দলবদ্ধভাবে উল্লাস করতে করতে আগুনে পুড়িয়ে মারাই প্রকাশ করে মানবিকতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। আমরা আজ কতটা নীচে নেমেছি। মানুষের বিবেক-বুদ্ধি কতটা লোপ পেয়েছে। আমরা চাই এসব বিবেকহীন ব্যক্তিদের শাস্তি হোক। আমরা বিচার চাই। নইলে কর্মসূচি দিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিচার চেয়েই যাব। অন্যথায় রংপুর অচল করে দেওয়ার মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব আমরা।
মানববন্ধনে রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর যুবলীগ নেতা আসাদুন্নবী হিরা, সমাজকর্মী ডা. মজিজুল ইসলাম মান্টু, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রেজাউল করিম মিলন, রংপুরের সমাজকর্মী তানবীর হোসেন আশরাফী, আহবায়ক জনতার রংপুর ডা. সৈয়দ মামুন, বাসদ নেতা আব্দুল কুদ্দুছ, রংপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত সরকার মুকুল, সমাজকর্মী জোবায়দুল ইসলাম বুলেটসহ সহিদুন্নবী জুয়েলের বন্ধু, সহকর্মীসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এমকেআর