ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিশু আসিফকে হত্যার পর ওয়ারড্রবে লুকিয়ে রাখা হয়

সাভার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
শিশু আসিফকে হত্যার পর ওয়ারড্রবে লুকিয়ে রাখা হয়

সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় আট বছরের শিশু আসিফ খাঁ হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যার ১৯ দিন পর মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

আর এসব তথ্য দিয়েছেন হত্যাকারী নিজেই।  

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হত্যাকারী ও হত্যার সহযোগী।  

নাটোর জেলার গুরুদাশপুর থানার নিতাই কর্মকারের ছেলে অন্ন কর্মকার (৩২) ও তার শ্যালক টাঙ্গাইল জেলা সদর থানার গবিন্দ কর্মকারের ছেলে নেপাল কর্মকার (১৪)। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে জানান, গত ১১ অক্টোবর বিকেল থেকে নিখোঁজ হয় আসিফ খাঁ। পরে এ নিয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুটির বাবা। এর দু’দিন পর ১৩ অক্টোবর আসিফদেরই বাসার পাশে একটি গলিতে মেলে আসিফের আঘাতপ্রাপ্ত নিথর মরদেহ।  

এ ঘটনায় মামলায় এজাহারভুক্ত কয়েকজন আসামি কারাগারেও রয়েছে।  

রহস্য উদঘাটনের ব্যপারে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র শিশু আসিফ খাঁ। সে সাভারের আশুলিয়ার পূর্বকলতা সূতি এলাকায় নিজ বাড়িতে বাবা-মার সঙ্গে থাকতো। তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া অন্ন কর্মকারের শ্যালক ১৩ বছর বয়সী ছেলে নেপালের সঙ্গে খেলাধুলার সময় প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো আসিফের। ১১ অক্টোবর বিকেলে আসিফকে একটি যান্ত্রিক মোটর দিতে চেয়ে নিজরুমে নিয়ে যায় নেপাল।  

‘সেখানে মোটরটি দিয়ে নেপাল আসিফকে বলে আমার সঙ্গে আর ঝগড়া করবি না। কিন্তু এসময় আসিফ উত্তেজিত হলে প্রথমে তাকে নেপাল শ্বাসরোধ করে গলায় পা দিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ ওয়ারড্রবের নিচের ড্রয়ারে লুকিয়ে রাখে। ’

তিনি বলেন, সেদিন সন্ধ্যায় আসিফ নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয়রাসহ নেপালও খুঁজতে থাকে। রাতে নেপাল তার বোনের স্বামী অন্ন কর্মকারকে হত্যার পর মরদেহ রেখে দেওয়ার কথা জানালে পরদিন (১২ অক্টোবর) ভোরের দিকে আসিফের মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরের গলিতে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ ১৩ অক্টোবর মরদেহ উদ্ধার করে।  

‘আমারা অনেককেই সন্দেহ করেছিলাম, তবে নেপাল হত্যার পরদিনই বাড়িতে চলে যায়। তাকে বারবার বাড়ি থেকে আসতে বলা হলেও আসেনি। সন্দেহের মাত্রাটা একটু বেড়ে গেলে তাকে নানা কলাকৌশলে নিয়ে আসা হয় আশুলিয়ায়। পরে হত্যার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।  

এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসোয়াদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ১৯ দিন চেষ্ট করে রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি। এই মামলায় ৭ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছিল। তারা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি পাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।