ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বসবাসযোগ্য শহর করতে প্রয়োজন চিন্তার জায়গা প্রসারিত করা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
বসবাসযোগ্য শহর করতে প্রয়োজন চিন্তার জায়গা প্রসারিত করা

ঢাকা: হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন কানাডার আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন বলেছেন, একটি বসবাসযোগ্য শহর তৈরি করতে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হয় না, এজন্য প্রয়োজন চিন্তার জায়গা প্রসারিত করা।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) মেয়র এলায়েন্স ফর হেলদি সিটি, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশ, কারফ্রি সিটিস এলায়েন্স এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত আমার শহর, আমার অধিকার শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও মেয়র এলায়েন্স ফর হেলদি সিটি এর সদস্য সচিব গাজী কামরুল হুদা সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি খোন্দকার এম আনসার হোসেন। সভা সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান।

প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে দেবরা ইফরইমসন বলেন, একটি বসবাসযোগ্য শহর তৈরি করতে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হয় না। এজন্য প্রয়োজন চিন্তার জায়গা প্রসারিত করা। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই পুরনো সব কিছুকে বাদ দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। পুরনো ছোট রাস্তাগুলোকে ভেঙে নতুন করে বড় করছি। নগরকে আধুনিকায়ন করতে গিয়ে আমরা গণপরিসরকে উপেক্ষা করে শপিংমল এবং গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা করেছি। এর ফলে আমরা স্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর বিনোদনের জায়গা হারিয়ে পেয়েছি যানজট আর দূষণ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যান্ত্রিক বাহনকে নিয়ন্ত্রণ করে হাঁটা ও সাইকেলকে প্রাধান্য দিচ্ছে। হাঁটা এবং সাইকেলিং হলো আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা কিন্তু আমরা এখনও তা উপেক্ষা করছি। শহরে আশেপাশে যে নদী বা খালগুলো আছে সেগুলোকে সংরক্ষণ করে গণপরিসরে রূপ দেওয়া প্রয়োজন।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান নগর পরিকল্পনায় মানুষকে অগ্রাহ্য করে বাণিজ্যিক চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবহার উপযোগী হয় না এবং মানুষ সেটি ব্যবহারও করেন না। এতে সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জলাধার নষ্ট করে ভবন, ফসলি জমির মধ্য দিয়ে রাস্তাঘাট এবং নদী-খাল-বিল ভরাট, দখল ও দূষণ করে যে শহর তৈরি করছি তা বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক পন্থায় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব নগর দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘যত্নে থাকুক নগরবাসী ও শহর’।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।