ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক কর্মসূচির বাস্তবায়নে যেতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক কর্মসূচির বাস্তবায়নে যেতে হবে’ ডুয়েট ছাত্রলীগ অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

ঢাকা: বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক কর্মসূচিকে বাস্তবায়নে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ডুয়েট ছাত্রলীগ অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুয়েকা) আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দুটি কর্মসূচি দিয়েছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচি ও অর্থনৈতিক কর্মসূচি। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেশের সকল রাজনৈতিক দল কয়েক বছরের জন্য সাময়িক বন্ধ থাকবে এবং একটি জাতীয় দল গঠন করতে হবে। আর দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে হবে। আজ আমাদের সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই পথেই হাঁটছেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, অনেকেই বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিপ্লবী নেতা ছিলেন। আমি বলতে চাই বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর বুকে একজন শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা, সংস্কারক, রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তুলনা করলে এই পৃথিবীতে তার সমকক্ষ কেউ নেই। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি যা করে গেছেন, আজকেও আমরা তার দেখানো পথ ধরে হাঁটছি। এখনও নতুনত্ব কিছু আমরা আনতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু সবকিছুর ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের অত্যাচারিত মানুষের মুক্তির জন্য ৬ দফা দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন এই ৬ দফার জন্য তাকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। তারপরও তিনি ৬ দফা দিয়েছিলেন। কারণ তিনি সবসময় অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে অনড় ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শহীদুজ্জামান মিন্টু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা বা মুক্তির দূত হিসেবে। নিজের জীবন ও রক্ত দিয়ে বঙ্গবন্ধু তা প্রমাণ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও সোনার বাংলা দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল হুদা, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু)।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০ 
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।