ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
পুড়িয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নে আবু ইউসুফ মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।  

শনিবার (৩১ অক্টোবর) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

 

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সম্পাদক মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম.এ মতিন।
 
এমএ মতিন বলেন, ‘লালমনিরহাটে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী ও মানবতাবিরোধী। এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কেউ অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। দেশের প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একজন মানুষকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপরও ন্যাক্কারজনক ভাবে হামলা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে নিশ্চয়ই কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে বলে আমরা মনে করি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। কোন ধর্মই সহিংসতা ও মানুষ হত্যা সমর্থন করে না। ধর্মের নাম ব্যবহার করে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এদের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা। ’

আল মামুন বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করা প্রত্যেকটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মকে কটাক্ষ করা, ধর্মের অপব্যবহার ইত্যাদি অমার্জনীয় অপরাধ। প্রকৃতপক্ষে, এরা বিভিন্ন ধর্মীয় উস্কানিমূলক অপপ্রচার চালিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এমন কর্মকাণ্ড কখনোই বরদাশত করবে না মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ’

মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ পাঁচ ধফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা বুড়িমারী ইউনিয়নে গুজব ছড়িয়ে আবু ইউসুফ মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, বিভিন্ন ধর্মীয় সভা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানিমূলক গুজব ছড়ানো ও অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, ধর্ষণের ন্যায় বলাৎকারের অপরাধে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন বন্ধে নজরদারি বাড়াতে হবে, মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত জাতীয় সংগীত বাজানো, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনার নির্মাণ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
এসকেবি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।