ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাহানারার গরম গরম চিতই-ভাপা

সাজিদুর রহমান রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
জাহানারার গরম গরম চিতই-ভাপা

মানিকগঞ্জ: অগ্রহায়ণের শুরুতেই শীত উঁকি দিতে শুরু করেছে মানিকগঞ্জে। শীতের এ আগমনী বার্তায় ফুটপাতে হরেক রকমের পিঠা-পুলির পরসা সাজিয়ে বসেছে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতারা।

কালিজিরা, সরিষা, ধনিয়া পাতা, মরিচের ভর্তার সঙ্গে চিতই আর ভাপা পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯টায় জেলার সাটুরিয়া উপজেলা সদরে মধ্য বয়সী নারী জাহানারা বেগম ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করছেন এমন চিত্র দেখা যায়। স্বামী হানিফ মিয়া সহায়তা করছেন আর স্ত্রী পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।  বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ এই মুখরোচর পিঠা খাচ্ছেন এবং অনেকে পরিবার-পরিজনদের জন্য নিয়েও যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাটুরিয়া বাজার এলাকার মূল প্রবেশদ্বারের পাশে ফুটপাতের পাশে একটি চৌকি পেতে বসেছে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতা। ওই চৌকির এক কোনে চালের গুড়া, পাটালি গুড়, চারটি চুলা বসিয়েছেন। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাতে থাকে জাহানারা বেগমের ফুটপাতের দোকানের চিত্র। হালকা শীত আর মৃদু বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে শীতের পোশাক পরে পিঠা খেতে আসতে থাকে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ। অনেকে আবার পরিবার-পরিজনের জন্য পিঠা নিতেও আসছে এবং কিছু সময় অপেক্ষা করে সেই কাঙ্ক্ষিত পিঠা নিয়ে বাড়ি ফিরছে। ডিম চিতই ১৫ টাকা, শুধু চিতই ৫ টাকা ও ভাপা পিঠা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়। স্বল্প মূল্যের কারণে চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।

পিঠা খেতে আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দুর্জয় নামের এক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ সে কারণে বাড়িতে আসছি। শীতের মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়েছি একটু ঘুরতে। শীতের মধ্যে চিতই পিঠা সরিষার ভর্তা দিয়ে খেতে খুব টেস্ট আর সেজন্য জাহানারা আপার দোকানে পিঠা খেতে আসছি। পিঠা খেতে এসে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়। তবে এ অপেক্ষা পিঠা খাওয়ার আগ্রহটা আরও বাড়িয়ে দেয়। ’

নার্গিস নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। সেজন্য সাটুরিয়াতে থাকি। হালকা শীতের মধ্যে চিতই আর ভাপা পিঠা খাওয়ার টেস্ট অনেক আগে থেকেই। সে কারণে অফিস শেষ করে ফেরার পথে পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য পিঠা নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। ’

পিঠা বিক্রেতা জাহানারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্বামী এ বাজারের দফতরির কাজ করে যে টাকা বেতন পান তা দিয়ে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া ও সংসার চালানো অনেক কষ্টের। তাই আমি এ শীতের সময় পিঠা বিক্রি করতে ফুটপাতে দোকান দিয়েছি। শীতের সময় অনেকে শরীর গরম করতে পিঠা খেতে আসেন, আবার অনেকে পরিবার পরিজনদের নিয়ে পিঠা খাওয়ার জন্য প্যাকেটেও নিয়ে যান। ’

তিনি বলেন, সারাদিনে এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকার পিঠা বিক্রি করলে ২-৩শ’  টাকা লাভ হয়। সব জিনিসের দাম অনেক বেশি সে কারণে লাভ কম হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
ডিএন/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।