ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পরীক্ষায় অসদুপায়, পাঁচজনকে পুলিশে সোপর্দ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২০
পরীক্ষায় অসদুপায়, পাঁচজনকে পুলিশে সোপর্দ 

ঢাকা: অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।  

শনিবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় সন্দেহজনক আচরণ হওয়ায় তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

 

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক নিয়োগ পদে লিখিত পরীক্ষা রাজধানীর আটটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় এ পরীক্ষার্থীদের আচরণ ও প্রশ্নের প্রদানকৃত জবাবে পরীক্ষকদের সন্দেহ হয়। এ সময় তাদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তরকৃত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞাসা করলে তার জবাব তারা মৌখিক পরীক্ষার সময় দিতে ব্যর্থ হয়। এ সময় বোর্ডের সদস্যরা তাদের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখেন যে উত্তরপত্রে উল্লেখিত হাতের লেখা তাদের নয়।

আটকরা হলেন- নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার গরমা গ্রামের মো. আব্দুল হামিদ তালুকদারের ছেলে মো. আল মামুন তালুকদার, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেওলা শিবপুর গ্রামের মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন খন্দকারের ছেলে মো. হামিম, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. আকরাম হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মজলিশপুর গ্রামের মহিদ্দিন আহমেদের ছেলে মো. তাকরিম আহমেদ ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের বিরই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ আল মামুন তালুকদার স্বীকার করেন, তার লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন সৈকত জামান। অপর পরীক্ষার্থী মো. হামিম স্বীকার করেন, তার পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মো. কেফায়েত উল্লাহ খন্দকারের ছেলে মো. সুমন খন্দকার। পরীক্ষার্থী মো. আকরাম হোসেন জানান, লিখিত পরীক্ষায় তার পরিবর্তে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার হারুন মাতুব্বরের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর অংশ নেন। পরীক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ স্বীকার করেন, ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে তার পরীক্ষা দিয়েছেন ওমর ফারুক। অপর পরীক্ষার্থী মো. আনোয়ার হোসেন স্বীকার করেন, বিআরডিবিতে চাকরিরত আলমগীর কবির সরকারের মাধ্যমে একজনের সঙ্গে চুক্তি করেন। ওই ব্যক্তি তার পরীক্ষা দিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২০
টিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।