ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর বিচ্ছিন্ন ঘটনা: তাজুল ইসলাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর বিচ্ছিন্ন ঘটনা: তাজুল ইসলাম ভাঙচুর করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য

ঢাকা: কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেছেন, আসলে এটি একটি দুর্ঘটনা বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এটি লক্ষ্য করছে এবং এটি দুঃখজনক।

রোববার (০৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মানুষের জন্য তিনি সব সময় লড়াই সংগ্রাম আন্দোলন করেছেন। ওনার দর্শন আজকে প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করছে বলে বাংলাদেশ আজ হতদরিদ্র দেশ নয়। আমাদের দেশের ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। মানুষ বলতো- মাগো সারাদিন কিছু খাইনি আল্লাহর ওয়াস্তে চারটা ভাত দাও, আমি শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষ খেয়ে পরে ভালো আছে। সেটা বঙ্গবন্ধুর অবদানের কারণে, তার দর্শনের কারণে, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কারণে।
 
‘আজকে আমরা যদি তার সম্মান রক্ষা না করতে পারি তাহলে সেটা খুবই দুঃখজনক। বঙ্গবন্ধুকে অপমান করলে তার কিছু হবে না। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য। বঙ্গবন্ধুর হত্যার কারণে বঙ্গবন্ধু ক্ষতিগ্রস্ত হননি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০০০ সালেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো। ফলে বঙ্গবন্ধু ক্ষতিগ্রস্ত হননি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা। ’
 
মন্ত্রী বলেন, এরকম ভাস্কর্য তো তুর্কি মুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাদের আছে, সৌদি আরব, আরব আমিরাতে তাদের হিস্ট্রিকাল ভাস্কর্য আছে। সেগুলো সম্পর্কে আমি মন্তব্য করতে চাই না।

হেফাজতকে আওয়ামী লীগই নিয়ে এসেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে কথা বলা যাবে। আমরা কে কোন দল করে না করে তার চেয়ে বড় পরিচয় সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। সকল নাগরিককে সরকার যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার চেস্টা করে। এই দর্শন বঙ্গবন্ধুর দর্শন। এটাকে কেউ অপব্যবহার করলে আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের তার দর্শন থেকে সরে যাওয়া উচিত হবে না।

কুষ্টিয়ার ঘটনার পর কি সরকার মনে করছে ধোলাইপাড়ের ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সরে আসা উচিত- প্রশ্নে বলেন, সরকারের যে সিদ্ধান্ত তা দেশ জাতি মানুষের অভিষ্ঠ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবং সেখানে সবসময়ই কমবেশি কিছু প্রতিকূলতা থাকে। সেই প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সরকার সচেষ্ট।
 
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তিনি আজ সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন। আমরা আজ বিভিন্ন জেনারেল ইস্যুতে আলোচনা করেছি।
 
সাক্ষাৎকালে অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি নিষ্কাশন, সাংস্কৃতিক, গ্রামীণ উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।