ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি: লোটে শেরিং

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি: লোটে শেরিং লোটে শেরিং/ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বলেছেন, বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) ভুটান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই এবং দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

ভার্যুই য়াল এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটান প্রান্ত থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং অংশ নেন।

লোটে শেরিং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে সাত বছর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় ঢাকায় তিন বছর কাটানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সব সময় আমার মনের মধ্যে আছে।

বাংলাদশের সঙ্গে ভুটানের ঐতিহাসিক সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারি থেকে চমৎকারভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ডা. শেরিং বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে (শেখ হাসিনা) চিরকাল স্মরণ করবে। আপনি, আপনার পরিবার এবং আরও অনেকে দেশের জন্য যে অবদান ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার কথা আমরা সবাই জানি।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য লোটে শেরিং বলেন, আমার প্রতি আপনার মাতৃস্নেহ ও আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ-ভুটান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেট কাটেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে এই চুক্তি সইয়ের ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। আর ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। পরবর্তীকালে আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পণ্য সংখ্যা বাড়ানো হবে।

বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা থেকে বেড়ে ৫৭ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।

ভুটানে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, প্লাস্টিক, ওষুধ, গৃহসজ্জাসামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী রপ্তানি করে। আর ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর, সবজি-ফলমূল, নির্মাণসামগ্রী, ক্যামিক্যালস ইত্যাদি পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান। ঐতিহাসিক দিনটি সামনে রেখে ৬ ডিসেম্বর চুক্তি সই হয়।

ভার্চ্যুয়াল এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. টান্ডি দর্জি,  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান,  এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমসহ দুই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।