ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৭ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় নোয়াখালী

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২০
৭ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় নোয়াখালী

নোয়াখালী: নোয়াখালী শত্রুমুক্ত দিবস আজ। মুক্তিসেনারা ১৯৭১ সালের এইদিন জেলা শহর মাইজদীতে রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে নোয়াখালীর মাটিতে উড়িয়ে ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করবে, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এ উপলক্ষে বিকেলে জেলা শহরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা, পিটিআই সংলগ্ন নোয়াখালী মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

একাত্তরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দখলদার বাহিনী ও রাজাকাররা জেলার শ্রীপুর, কুরিপাড়া, গোপালপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। গুলি ও পুড়িয়ে হত্যা করে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে। গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অভ্যন্তরে ও ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জেলার বামনী, তালমাহমুদের হাট, রাজগঞ্জ, বগাদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।  

নোয়াখালী মুক্ত হওয়ার আগ মুহুর্তে ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে মাইজদী পিটিআই ও বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুল ক্যাম্প ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের উদ্দেশে পালিয়ে যেতে থাকে পাকবাহিনী। এ সময় বেগমগঞ্জ-লাকসাম সড়কের বগাদিয়া ব্রিজ অতিক্রম করতেই সুবেদার লুৎফুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বাধীন মুক্তি বাহিনীর হাতে অসংখ্য পাক সেনা নিহত হয়।

সাত ডিসেম্বর সূর্য উদয়ের আগে থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে মাইজদীতে পিটিআই ক্যাম্পে হানা দেয়। সন্ধ্যার আগেই মুক্ত হয় জেলা শহর মাইজদী। মুক্ত হয় নোয়াখালী।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।