ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

করোনা ঝুঁকিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, নেই মাস্কের ব্যবহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২০
করোনা ঝুঁকিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, নেই মাস্কের ব্যবহার করোনা ঝুঁকিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, নেই মাস্কের ব্যবহার। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটান) পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে নেই মাস্কের ব্যবহার। গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরে করোনা ভাইরাস নিয়ে কর্তৃপক্ষের নেই তেমন কোন নজরদারি।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল চালকরা মাস্ক ছাড়া অবাধে ঘোরাফেরা করছেন। নিজেরা সরাসরি ফাইল নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন দপ্তরে। দিনভর চার দেশের চালকরা কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা জটলা বেধে থাকছেন বন্দর অফিসের সামনে। তবে বন্দরের শর্তে ভিনদেশি চালকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট স্থানে থাকার কথা থাকলেও তেমন কোনো নিয়ম কানুন চোখে পড়েনি।

স্থানীয়রা বলছেন, বাংলাবান্ধায় এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত না হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর দিয়ে ভিনদেশিরা আসছে। তারা মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনায় শর্ত সাপেক্ষে কঠোর স্বাস্থ্যবিধির এসোপির মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলেও এখন তা ভেস্তে গেছে। বন্দরে কারো মাঝে করোনার ভয় নেই বলেলেই চলে। পণ্য খালাস হওয়ার আগ পর্যন্ত ভিনদেশি ওই সব চালক ছুটছে বিভিন্ন দোকানপাট ও হাটবাজারে। এমন অবস্থায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে পঞ্চগড়ের জন্য করোনার হট স্পট হবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ি ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মোজাফ্ফর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমরা সব সময় চালকদের মাস্ক পরে থাকতে বলি।

সিএনএফ এজেন্ট আলমগীর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং মাস্ক পরতে চালকদের আমরা সব সময় বলে আসছি। তবে এটা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের একটা এসোপি করে দেওয়া হয়েছে। আমার সেই এসোপি মেনেই বর্তমানে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে জানান, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা যতক্ষণ থাকি সবাই মাস্ক পরে, চলে গেলে আবার খুলে রাখে। এখানে স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের ও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।