ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করার দাবি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাস্তবায়ন পরিষদ। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ যথা সময়ে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাস্তবায়ন পরিষদ।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাস্তবায়ন পরিষদ আহ্বায়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সহকারী সচিব ড. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবো। সাম্প্রতিককালে আপনারা লক্ষ্য করেছেন কুষ্টিয়া পৌর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ঠিক সেই মুহূর্তেই দেশের কতিপয় কুলাঙ্গার, রাজাকারের পুত্ররা ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের পুত্র মামুনুল হক বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়েই বাংলার স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কথা বলে! জাতির পিতার বিরুদ্ধে কথা বলা অবশ্যই রাষ্ট্রদ্রোহিতা। মামুনুল হককে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় বিচার করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকায় নয় দেশের প্রতিটি জেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করতে হবে। জাতির জনকের ভাস্কর্য তৈরি করা নতুন কিছু নয়। তুরস্কে এরদোগানের ভাস্কর্য রয়েছে। তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুরের ভাস্কর্য ওই দেশের প্রতিটি মহল্লায় শোভা পাচ্ছে। পাকিস্তানের জাতির পিতা কায়েদি আজম মোহাম্মদ জিন্নাহর বিশাল ভাস্কর্য স্থাপন করা আছে। কট্টর মৌলবাদী ইসলামিক দেশ সৌদি আরবেও ভাস্কর্য আছে। আসলে ভাস্কর্য বিষয় নয়, ধর্মীয় বিষয়ও নয়, বিষয় হলো রাজনৈতিক। ওরা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, ওরা স্বাধীনতাবিরোধী। ’

আওলাদ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে, বাংলার মানুষ তা সহ্য করবে না। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জিয়াউর রহমানের অসংখ্য ভাস্কর্য তৈরি হয়েছিল। চট্টগ্রামে যে জাদুঘর তৈরি হয়েছে, সেখানে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য আছে। আজকে কথা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে, এটা মূর্তি না ভাস্কর্য? আগে আপনারা ব্যাখ্যা শিখুন। ভাস্কর্যে হামলাকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ’

এসময় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নাসিম মিয়া, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য আলমগীর হোসেন, শ্যামপুর থানা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কমান্ডার শামসুজ্জামান বাবুল, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন চিশতী, নারী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোনাবান নূপুর ও ঢাকা মহানগর নারী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌসি ইয়াসমিন পপি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
এমএমআই/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।