ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

ঢাকা: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙায় ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।  

একইসঙ্গে ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ইউসুফ হারুনের ও সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমদের সই করা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।  

এতে বলা হয়, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সব শ্রেণি-পেশা-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এদেশের স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে আনে। বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতির অস্তিত্বের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুই ছিলেন পথ প্রদর্শক, আলোর দিশারী ও সার্বজনীন নেতা। বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম তাই অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত।

সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে তৎকালীন প্রশাসন সার্ভিসের সদস্যরাও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা প্রশাসন ক্যাডার তথা জনপ্রশাসনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চেতনা ও অস্তিত্বের মর্মমূলে কুঠারাঘাতের সামিল।

অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য চিরায়ত বাঙালি জাতির অবিনাশী চেতনার মূর্ত প্রতীক। বিভিন্ন জাতি রাষ্ট্রের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিকাশের পরিচায়ক হিসেবে আধুনিক রাষ্ট্রসমূহে এমনকি অনেক মুসলিম দেশে তাদের জাতির পিতার এবং জাতীয় নেতাদের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন সংগ্রাম, তার ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কতিপয় দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হানার মাধ্যমে বিশ্বজনীন ঐতিহ্য ও চেতনাকে আঘাত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে উচ্ছ্বসিত অনুপ্রেরণায় যখন মুজিববর্ষ পালন করছে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য দেশের মানুষ যখন অনির্বাণ উৎসাহে অপেক্ষমান, ভিশন-২০২১, ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে দেশ-তখন রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা মাত্র। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এই অপচেষ্টা রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।

সবশেষে বিজ্ঞপ্তিতে  বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। এছাড়া নতুন ও অনাগত প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনা ছড়িয়ে দিতে সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

এর আগে চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।