ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্যামপুরে ভাসমান ডকে বিআইডব্লিউটিএর জাহাজ ‘ধ্রুবতারা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২০
শ্যামপুরে ভাসমান ডকে বিআইডব্লিউটিএর জাহাজ ‘ধ্রুবতারা’

ঢাকা: রাজধানীর শ্যামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান ডকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জাহাজ ‘ধ্রুবতারা’ আনডকিং করা হয়েছে।

ধ্রুবতারা জাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ এবং উপকূলীয় নৌপথের বিভিন্ন রুটে নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের জন্য বয়া-বিকন স্থাপন ও প্রতিস্থাপনের কাজ করা হয়ে থাকে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে বিআইডব্লিউটিএ’র ভাসমান ডকে ‘ধ্রুবতারা’ এর আনডকিং করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ’র ভাসমান ডকটি ১৯৬৭ সালে জার্মানিতে নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ভাসমান ডকটিতে একটি ৫ টন ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রেন, দু’টি ১৫০ কেভিএ জেনারেটর, চারটি ক্যাপস্টান রয়েছে। জলযান ডকিংয়ের পর মেরামত কাজ করার জন্য ১৩টি ওয়েল্ডিং রেগুলেটর রয়েছে।

ডকটিতে যেকোনো জলযানের আন্ডার ও ওয়াটার অংশ এবং প্রপালশন ইউনিটসহ যেকোন অংশের মেরামত কাজ করা খুবই সুবিধাজনক। ৮০০ টন পর্যন্ত ওজনের যেকোন ফ্লোটিং স্ট্রাকচার যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ভাসমান ডকের রানওয়ের বেশি নয় সে সব জাহাজ, ড্রেজার, বার্জ পন্টুন ইত্যাদি ভাসমান ডকে ডকিং এবং আনডকিং করা যায়।

ভাসমান ডকে বিআইডব্লিউটিএ এবং অন্যান্য সংস্থার জলযানের জরুরি মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়। প্রয়োজনে ভাসমান ডকটি মুভ করে অন্যস্থানেও জরুরি মেরামত কাজ করতে সক্ষম। ভাসমান ডকটি ২০০২ সালে বরিশাল থেকে নিয়ে এসে ঢাকার শ্যামপুরে স্থাপন করা হয়। ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ ডকটিতে ৭৫টি জলযান ডকিং এবং আন-ডকিং করা হয়েছে। ভাসমান ডকটি বিআইডব্লিউটিএ’র তথা বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর জায়গা দখল করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা সরকার পছন্দ করে না। নদীর জায়গা কেউ অবৈধভাবে দখল করে উন্নয়নের সুযোগ পাবেন না। নদী তীরের জায়গা দখলরোধে সরকার সঠিক পথে এগুচ্ছে। নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যক্রমে হাইকোর্টে সন্তুষ্ট এবং দেশবাসীও সন্তুষ্ট।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উচ্ছেদ কার্যক্রম ধীরগতিতে চললেও বর্তমানে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নদী তীরের সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।