ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু বিশ্বমানবতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
বঙ্গবন্ধু বিশ্বমানবতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন

ঢাকা: নাইজেরিয়ার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল-রাশিদ নাল্লাহ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু তার দেশের স্বাধীনতার জন্যই সংগ্রাম করেননি, তিনি বিশ্বমানবতার জন্যও নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি ছিলেন একজন মহান ব্যক্তিত্ব এবং নেতা।

আব্দুল-রাশিদ নাল্লাহ আরও বলেন, আফ্রিকাসহ বর্তমান বিশ্বে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আজও প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ।

আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঔপনিবেশিক শাসনকালে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) নাইজেরিয়ার আবুজাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে নাইজেরিয়ার আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে আবুজা  বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও আন্তর্জাতিকতাবাদ’ বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় পররাষ্ট্র নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল-রাশিদ নাল্লাহ এবং প্রথম সচিব ও ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিদোষ চন্দ্র বর্মণ আলোচনায় অংশ নেন।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিদোষ চন্দ্র বর্মন বলেন, বিশ্বশান্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন ও আদর্শের মূলমন্ত্র। পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর মূল নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’-এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সকল মানুষের জন্য তাঁর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বদা বিশ্বের নিপীড়িত, অবদমিত, শোষিত ও অধিকার-বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অপরিহার্য। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মানবতার বিকাশের জন্য শান্তির প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে তিনি বিশ্বের সকল অঞ্চলের ঔপনিবেশিকতাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণকামী মানুষের সংগ্রাম সমর্থন করেছেন এবং এ ক্ষেত্রে সমর্থন দিতে বিশ্বের নেতৃবৃন্দকেও উৎসাহ জুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তার শান্তিবাদী দর্শনের জন্য উত্তর-ঔপনিবেশিক বিশ্বের অনুপ্রেরণার এক উৎস হয়ে রয়েছেন।

আলোচনা শেষে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে  মুজিববর্ষ উপলক্ষে নাইজেরিয়ার সরকার কর্তৃক অবমুক্ত স্মারক ডাকটিকিট হস্তান্তর করেন এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ও আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে, অধ্যাপক ক্লিমেন্ট আলাওয়া, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মালাম রেফুই আহমেদ বাবা, অধ্যাপক ইওয়েমা একেজোনা, অধ্যাপাক উবোম বাসে, অধ্যাপক এম এ কাচা এবং অধ্যাপক স্টিফেন গার্বা উপস্থিত ছিলেন। এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুসা ওলাওফে  সভায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।