ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে ভীত হওয়ার প্রয়োজন নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে ভীত হওয়ার প্রয়োজন নেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

ঢাকা: সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে কোনোভাবেই ভীত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘কেউ বেআইনি কাজ করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

তবে আইনের যাতে কোনো অপব্যবহার না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। আইনের বিধি-বিধান দিয়ে কাউকে যেন জিম্মি করা না হয়, কোনো অনিয়ম যাতে না হয়, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান। এসময় কোনোভাবেই সামুদ্রিক মৎস্যখাত যেন প্রতিকূল অবস্থায় না পড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার কখনো গণবিরোধী আইন করে না। কোন যৌক্তিক দাবি থাকলে সরকার সর্বোচ্চ সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে। কোনো প্রক্রিয়ায় ভুল বোঝাবুঝি বা সুবিধা-অসুবিধা থাকলে তা সমাধান করা হবে। কিন্তু কোনো সমাধানের প্রক্রিয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ভূমিকায় যাতে নষ্ট না হয়ে যায়। সরকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করতে চায়, উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করতে চায়। তবে দেশের স্বার্থে, দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে অনেকসময় কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কোনোভাবে আমাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া বা আমাদের এগিয়ে যাবার পথ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেটা আমরা দেখবো। মৎস্যখাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষির একটি বড় অংশ মৎস্যখাত। এ খাত সমৃদ্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। মৎস্য গবেষণাসহ ব্লু -ইকোনমি কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এমনকি গভীর সমুদ্রে টুনা মাছ সংগ্রহের জন্য সরকার প্রকল্প নিয়েছে। মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়। আমরা অনেক বড় বড় দেশকে অতিক্রম করে মৎস্য উৎপাদনে ভালো অবস্থানে পৌঁছেছি। ’

সম্প্রতি নতুন প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কেউ সম্পৃক্ত নন বলে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা সভায় জানান। এধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের জন্য এসময় তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, যুগ্ম সচিব মো. হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নূরুল কাইয়ুম খান, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাইস অ্যাডমিরাল (অব.) জহির উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব মসিউর রহমান চৌধুরীসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।