কক্সবাজার: প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম হয়। তিল ঠাঁই থাকে না হোটেল-মোটেলে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে এখন আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন শিল্প। সমুদ্রসৈকতসহ আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকেরা। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে এবছর সমুদ্রসৈকতসহ কোথাও উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা বিনোদনমূলক কোনো আয়োজন নেই।
রাঙামাটি থেকে সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন বিজয় ধর। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কক্সবাজার অনেকবার এসেছি, কিন্তু প্রতিবার কিছু অসাধারণ ভালো লাগার স্মৃতি নিয়ে ফিরি। করোনা মহামারির কারণে অনেক দিন ঘরবন্দি ছিলাম। বছরের শেষ সময়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা। ভালো সময় কেটেছে।
‘করোনা মহামারির কারণে সৈকতকে এবার একটু নির্জন নির্জন লাগছে। লাখো মানুষের ভিড় নেই। অনেক ভালো লাগছে। ’ এমন অনুভূতি স্মৃতি চাকমার।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় আর ইংরেজি বর্ষ বরণ করতে এই দিনটিতে অন্য বছর লাখো পর্যটকের মহামিলন মেলা হলেও এবার তেমন ভিড় নেই। তবু ভ্রমণপিপাসু অনেক পর্যটক মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সমুদ্র সৈকতে। স্বপ্নের সেই সমুদ্রের লোনা জলে গা ভাসানো আর বালুকাবেলায় দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখাসহ নানা আনন্দে সময় কাটছে তাদের।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. কলিম বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে এখনো দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসেনি। এমনকি শীত মৌসুমে করোনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এবার পর্যটক অনেক কম।
তিনি বলেন, আশানুরূপ পর্যটক না এলেও করোনা মহামারির মন্দা কাটিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। দীর্ঘদিনের সেই অচলাবস্থা অনেকটা কাটিয়ে উঠছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মো. মিজানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রধান কাজ ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করা। কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশ সেই কাজটি করছে।
‘পাশাপাশি যেহেতু করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে, আমরা পর্যটকদের সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছি। ’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
এসবি/এএ