ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

না.গঞ্জের ঐতিহ্য মাউরা টিকে থাকবে, সময় পেলো ৩ মাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
না.গঞ্জের ঐতিহ্য মাউরা টিকে থাকবে, সময় পেলো ৩ মাস

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকান যেটি বহু বছর ধরে খাবার মান ধরে রেখেছে। সেই মাউরা হোটেলের আশ-পাশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও উচ্চ আদালত ও রেলওয়ের কাছে সময় চেয়ে ৩ মাসের সময় পেয়েছে তারা।

এ তিন মাসের মাধ্যেই মাউরা হোটেল তাদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া অন্য স্থানে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেবে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের কালিরবাজার ও কেন্দ্রীয় রেলওয়ে সংলগ্ন এলাকায় রেলওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হয়। ডাবল রেললাইন করার জন্য রেলওয়ে তাদের জমি এখন উদ্ধার করতে এ অভিযান চালাচ্ছে। এসময় বিভিন্ন দোকান, খাবারের হোটেল, অস্থায়ী বাসস্থানসহ অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

তবে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যের একটি অংশ বহন করে এই মাউরা হোটেল। অনেক গুণীজনের আগমন ঘটেছিল এই হোটেলে। শহরজুড়ে শত শত খাবারের দোকান নানা অফার ও মান সম্পন্ন খাবার নিয়ে এলেই মাউরা হোটেলের খাবারের প্রতি শহরের মানুষের জোঁক আগের মতই রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করে এবং গ্রাহকদের কথা বিবেচনায় রেখে হোটেলটিকে সময় দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি উচ্চ আদালতেও তারা ৬ মাসের জন্য সময় পেয়েছিল এটি সরিয়ে নেওয়ার। ইতোমধ্যে সেই আদেশের তিন মাস পার হয়েছে বলে জানা গেছে। আর তাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আগামী ৩ মাসের মধ্যেই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
 
মাউরা হোটেলের মালিক সেলিম আহমেদ হেনা জানান, নারায়ণগঞ্জে ডাবল রেললাইন হবে এটি অত্যন্ত সু-সংবাদ। আমরাও এটাকে স্বাগত জানাই। তবে আমাদের নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য এ হোটেলটি। আমরা অন্যত্র জমি নির্ধারন করছি আর সেখানেই আমরা আমাদের গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সবকিছু সরিয়ে নেব। আমাদের কোনো কিছুর বিল বকেয়া নেই। আমরা সব সরকারি বিল নিয়মিত পরিশোধ করছি। আশ-পাশেই আমাদের হোটেলটির জন্য স্থান নির্ধারণ হয়ে গেলে এবং আমরা বুঝে পেলেই নিজ খরচে আমরা তা নির্মান করে নেব এবং আমাদের সব কিছু স্থানান্তর করে নেব। এজন্য আমাদেরকে তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা সবার সহায়তা কামনা করছি যেন আমাদের জেলার এই ঐতিহ্যটিকে আমরা টিকিয়ে রাখতে পারি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।